,

বাংলাদেশের শ্রীলংকা বধ

সময় ডেস্ক ॥ ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলংকাকে ১ শত ৬৩ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। জয়ের জন্য ৩২১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩২ ওভার ২ বলে ১৫৭ রানেই গুটিয়ে যায় লঙ্কানরা।  গতকাল শুক্রবার বেলা ১২টায় ঢাকার মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয়। টস জিতে এদিন আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ব্যাট করতে নেমে তামিম, সাকিব ও মুশফিকের অর্ধশতকে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩২০ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় টাইগাররা। বাংলাদেশের পক্ষে তামিম ইকবাল সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেন। এছাড়া সাকিব আল হাসান ৬৭ ও মুশফিকুর রহিম ৬২ রান করেন। শ্র্রীলংকার পক্ষে থিসারা পেরেরা ৩টি, নুয়ান প্রদীপ ২টি এবং আকিলা ধনঞ্জয়া ও আসেলা গুনারতেœ একটি করে উইকেট নেন। টুর্নামেন্টের নিজেদের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৮ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ। অন্যদিকে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকা জিম্বাবুয়ের কাছে ১২ রানে হেরে যায়। সর্বোচ্চ স্কোরগুলি নিম্নে দেওয়া হল,  গতকাল ১২তম বারের মতো ৩০০ পেরোল বাংলাদেশ। এ নিয়ে এক ডজন বার ওয়ানডেতে ৩০০ রানের ম্যাজিক সংখ্যা ছুঁল বাংলাদেশ। ১৯৮৬ সাল থেকে ২০১৮, ক্রিকেটের এই জনপ্রিয় সংস্করণে বাংলাদেশের পদার্পণ ৩২ বছর ধরে। প্রথম ৩০০ এসেছিল হাবিবুল বাশারদের সময়ে। ২০০৬ সালে বগুড়ায় কেনিয়ার বিপক্ষে শাহরিয়ার নাফীসের ৯১ রান আর শেষ দিকে বর্তমান অধিনায়ক মাশরাফির ঝোড়ো গতির ৪৪ রানে প্রথম ৩০০-র স্কোর পেয়েছিল বাংলাদেশ। দেখতে দেখতে ৩০০-র স্কোরটা ১২তম বার করে ফেলল বাংলাদেশ। এর মধ্যে গত চার বছরেই সাতবার বাংলাদেশ ৩০০ পেরিয়েছে। এই ১২ বারের মধ্যে ১০ বারই টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েছে দল। বাংলাদেশ ৩০০ পেরিয়ে হেরেছে মাত্র দুবার। ৩২৯/৬, পাকিস্তান ১৭ এপ্রিল ২০১৫, ৩২৬/৩, পাকিস্তান ৪ মার্চ ২০১৪, ৩২৪/৫, শ্রীলঙ্কা ২৮ মার্চ ২০১৭, ডাম্বুলা ৩২২/৪, স্কটল্যান্ড ৫ মার্চ ২০১৫, নেলসন ৩২০/৭, শ্রীলঙ্কা ১৯ জানুয়ারি ২০১৮, ৩২০/৮, জিম্বাবুয়ে, ১১ আগস্ট ২০০৯, বুলাওয়ে ৩১৩/৬, জিম্বাবুয়ে ১৬ আগস্ট ২০০৯, বুলাওয়ে ৩০৯/৬,  নিউজিল্যান্ড, ৩ নভেম্বর ২০১৩, ফতুল্লা ৩০৭/১০, ভারত ১৮ জুন ২০১৫, ৩০৫/৬ ইংল্যান্ড, ১ জুন ২০১৭ ওভাল ৩০১/৭, কেনিয়া, ১৭ মার্চ ২০০৬ বগুড়া ৩০০/৮, আরব আমিরাত, ২৪ জুন ২০০৮, লাহোর।


     এই বিভাগের আরো খবর