,

নাসিরের গোলে ফাইনালে বাংলাদেশ

সময় ডেস্ক ॥ এক সময় স্ট্রাইকারই ছিলেন। দীর্ঘদিন খেলেছেন আক্রমণে। কিন্তু হঠাৎ করে ভূমিকা পাল্টে হয়ে গেছেন ডিফেন্ডার। কিন্তু আজকের ম্যাচে যেন সেই স্ট্রাইকার সত্তাটাই বেরিয়ে এল নাসির উদ্দিন চৌধুরীর। তাঁর দুর্দান্ত গোলেই তো বঙ্গবন্ধু কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ। ম্যাচ জয়ের এই নায়ক বলেছেন, রক্ষণে খেললেও একটা গোলের জন্য মনে মনে ছক কেটে রেখেছিলেন। একটা গোল তাঁর ভীষণই দরকার ছিল তাঁর ছোট্ট মেয়ের জন্য। মেয়ে যে বাবার পায়ে গোলই চায়! নাসির বলেছেন, ‘আমার ছোট্ট মেয়ে মাইশা। ওর জন্যও অন্তত একটা গোল করা খুব দরকার ছিল আমার। খেলায় হারলে আমার মেয়ে মাইশা বলে, “আব্বু তুমি গোল খাইছ।” আর যখন আমরা জিতি তখন বলে, “তুমি গোল দিছ।” ও তো বোঝে না, কে গোল করে, আর কে করে না। কিন্তু আজ আমি সত্যিই গোল করেছি। আজ ওকে বলতে পারব, গোল দিয়েছি। এ জন্যই আমি একটু বেশি আনন্দিত। এই গোলটাও মেয়েকেই উত্সর্গ করেছি। নিজের স্ট্রাইকার থেকে ডিফেন্ডার হয়ে যাওয়ার গল্পটি জানিয়ে বললেন, ‘একসময় স্ট্রাইকার ছিলাম। সেনাবাহিনী দলে টানা নয় বছর স্ট্রাইকার হিসেবে খেলেছি। মোহামেডানেও ছিলাম স্ট্রাইকারের ভূমিকায়। সেনাবাহিনীতে মনের আনন্দে ফুটবল খেলতাম। তখন অনেকটা না বুঝেই ফুটবল খেলতাম। কিন্তু আমাকে খেলা শিখিয়েছেন মারুফ ভাই (কোচ মারুফুল হক), উনি আমাকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন জাতীয় দলে খেলার। আজ আমি জাতীয় দলে খেলছি। মারুফ ভাই আমাকে রক্ষণে খেলতে উপদেশ দিয়েছিলেন। আর জাতীয় দলেও ডিফেন্ডার হিসেবেই বেশি সাবলীল।


     এই বিভাগের আরো খবর