,

নবীগঞ্জের মংলাপুরে জামিল হত্যা মামলার প্রধান আসামীর স্বীকারোক্তিতে গ্রেফতার ২

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার মংলাপুর গ্রামে জামায়াত নেতা মাওলানা মোস্তফা আহমদের বাড়ীতে ডাকাতি ও হত্যা মামলার প্রধান আসামী দিদার আহমেদ পংকির (৩০) স্বীকারোক্তি মতে আরো ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তাদেরকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায় বলে জানায় সিআইডি পুলিশ। গতকাল শুক্রবার বিকেলে রিমান্ড শেষে মুলহোতা পংকীসহ অপর দুইজনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। এর আগে সিআইডির ওসি মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সিলেটের ওসমানিনগর এলাকার জাফরপুর গ্রামের মৃত আঙ্গুর মিয়ার পুত্র ফয়জুর আমীন (২০) ও দক্ষিণ বাইকদার গ্রামের তৈয়ব আলীর পুত্র আরব আলী (২৫) কে আটক করে। তারা প্রাথমিকভাবে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পুলিশ জানায়, তাদের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজারসহ বিভিন্ন থানায় ১ ডজন ডাকাতি ও হত্যা মামলা রয়েছে। পুলিশ জানায়, আউশকান্দি ইউনিয়নের জামায়াতের আমীর মাওলানা মোস্তফা আহমদের বাড়িতে গত বছরের ১ এপ্রিল রাত ৩টার দিকে ৭/৮ জনের একদল মুখোশধারী লোক বাড়ির কলাপসিবল গেইটের তালা ও ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় বাড়ির গৃহকর্তা মাওলানা মস্তফা আহমদের শয়ন কক্ষে প্রবেশ করে তাকে এলোপাতাড়িভাবে মারধর শুরু করলে অন্য রুমে ঘুমিয়ে থাকা তার পুত্র জামিল আহমদ (২৫), মওদুদ আহমদ (২২) ও মাসুদ আহমদ (১৬) আচ করতে পেরে জেগে উঠেন। এক পর্যায়ে তারা তাদের বাবাকে রক্ষা করতে অজ্ঞাতনামা দুবৃর্ত্তদের সাথে পাল্টা আক্রমনের চেষ্টা চালায়। এতে সংঘবদ্ধ দুবৃৃত্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কোপাতে থাকে। আধ ঘন্টা সময় দুবৃত্তদের সাথে চলে তাদের তিন ভাইয়ের হামলা পাল্টা হামলা। এক পর্যায়ে দুর্বৃত্তরা পিছু নিয়ে বাড়ির উঠানে যায়। এ সময় উঠানে গিয়ে চলে আরো হামলা পাল্টা হামলা। পরে দুর্বৃত্তদের সাথে হার মেনে গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ৩ সহোদর। পরে দুর্বৃত্তরা চলে যায়। ঘটনার খবর গ্রামের লোকজন জানতে পেরে এগিয়ে এসে তাদেরকে উদ্বার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জামিল আহমদকে মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় নিহতের মা আছিয়া বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৭/৮জন কে আসামী করে নবীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি নবীগঞ্জ থানা পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষেও কোন সুরাহা করতে না পেরে মামলাটি ডিবিতে ন্যাস্ত হয়। এ সংস্থাটিও কোন সুরাহা করতে না পারায় অবশেষে মামলাটি সিআইডিতে প্রেরণ করা হয়। সিআইডির ওসি আব্দুর রাজ্জাক বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে নিশ্চিত হন যে দিদার আহমেদের নেতৃত্বে ওই বাড়িতে ডাকাতি সংঘটিত হয়। এরপর থেকে গত ২৩ অক্টোবর রাতে ওসমানি নগর থেকে পংকীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালত তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ৩ দিন ধরে তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।


     এই বিভাগের আরো খবর