,

প্রযোজকেরা বস হয়ে বসে থাকেন

সময় ডেস্ক ॥ দীপা খন্দকার অভিনয় করছেন ১৯ বছর। কাজ করেছেন টিভি নাটক আর বিজ্ঞাপনচিত্রে। এবার তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন। ভারতের এই বাংলা ছবির কাজ শুরু হয়েছে। নাম ‘ভাইজান এলো রে’। পরিচালক জয়দীপ মুখার্জি। গত শনিবার রাতে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন দীপা খন্দকার। তখন তিনি ছিলেন কলকাতায়। আপনি চলচ্চিত্রে এত দিন কাজ করেননি কেন? টিভির জন্য সব সময় ভালো গল্পের নাটকে কাজের চেষ্টা করেছি। দর্শকও সেগুলো পছন্দ করেছেন। বড় পর্দায় ভালো লাগার মতো চরিত্রের জন্য অপেক্ষা করেছি। আমার অপেক্ষা সার্থক হয়েছে। প্রথম ছবিতে চমৎকার গল্প পেয়েছি। ‘ভাইজান এলো রে’ ছবিতে আপনার চরিত্রটি কী রখম? ছবিতে আমি শাকিব খানের বোন। ছবিতে তিনটি নারী চরিত্র। একটিতে আমি আর অন্য দুটিতে আছেন কলকাতার শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি ও পায়েল সরকার। আশা করছি, দর্শকের ভালো লাগবে। ছবিতে আমার বিপরীতে অভিনয় করছেন কলকাতার অভিনয়শিল্পী শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়। প্রথম দিনের শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা বলুন। শুরু থেকেই মানসিক চাপ কাজ করছিল। নাটকে আমরা একরকম অভিনয় করেছি, আর চলচ্চিত্রে এসে দেখি অন্য রকম। শুনেছি, প্রথম দিন আমার কাজ নাকি সবাই পছন্দ করেছেন। শুটিং স্পটে আমার কল ছিল সকাল সাড়ে সাতটায়। পরিচালক কী চাচ্ছেন, শুরুতেই কিছুক্ষণ সেটা অনুসরণ করেছি। এরপর আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। গতকাল শনিবার সারা দিন আমার তিনটি দৃশ্যের শুটিং হয়েছে। দৃশ্যগুলো ছিল শাকিব খান আর শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। আমাদের শাকিব খানকে এখানে সবাই খুব সম্মান করে। এটা দেখে খুব গর্ব হলো। সবাই খুব আন্তরিক। পরিচালক জয়দেব মুখার্জি আমাকে ডেকে বললেন, ‘কিছুক্ষণ ঘুরে বেড়াও। পরিবেশের সঙ্গে পরিচিত হয়ে নাও। কাজ করতে করতে দেখবে সবাই তোমাকে আপন করে নিয়েছে।’ প্রথম ছবি, তা-ও আবার দেশের বাইরে পরিবেশের সঙ্গে কীভাবে মানিয়ে নিয়েছেন? ওই যে বললাম, শুরু থেকেই মানসিক চাপ কাজ করছিল। তবে একজন অভিনয়শিল্পী পৃথিবীর যে প্রান্তে থাকুন না কেন, তিনি অভিনয়শিল্পী। পরিচালক যখন অ্যাকশন বললেন, তখন আমি অন্য জগতে চলে যাই। সবকিছু ভুলে যাই, আমি কোথায় আছি, কী করছি। আমার সামনে যিনি আছেন, তাঁকে শুধুই অভিনয়শিল্পী মনে করি। কলকাতার কোথায় শুটিং করছেন? এখানকার এক শুটিংবাড়িতে কাজ হচ্ছে। ৭ মার্চ পর্যন্ত এখানে শুটিং করব। এরপর কলকাতার বাইরে জমিদারবাড়িতে ১২ মার্চ পর্যন্ত আমার শুটিং হবে। ঢাকায় ফিরে আবার ৩০ মার্চ যাব লন্ডনে, শেষ লটের শুটিংয়ে। দুই দেশে শুটিংয়ের পরিবেশের মধ্যে কোনো পার্থক্য চোখে পড়েছে? এখানে সবাই পুরোদস্তুর পেশাদার। প্রতিটি মানুষের কাজের প্রতি দায়িত্ববোধ আর ভালোবাসা দেখে বিস্মিত হয়েছি। জানতে পেরেছি, যাঁরা এখানে কাজ করছেন তাঁদের অনেকেরই কয়েক প্রজন্ম ছবির কাজের সঙ্গে বিভিন্নভাবে যুক্ত। প্রযোজককে দেখি শুটিং শুরুর আগেই সেটে এসে উপস্থিত। সেট থেকে বের হয়েছেন সবার শেষে। প্রযোজক শুধু টাকা বিনিয়োগ করে দায়িত্ব শেষ করেননি, নিজেকে ছবির সঙ্গে যুক্ত রেখেছেন। শুধু অভিনয়শিল্পী নন, ইউনিটের কলাকুশলী সবার সঙ্গে প্রযোজকের আন্তরিক আর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দেখে আমি মুগ্ধ। আমাদের ওখানে প্রযোজকেরা বস কিংবা স্যার হয়ে বসে থাকেন। এখানে এসে অনেক কিছু শিখছি।


     এই বিভাগের আরো খবর