,

৮৭ বছরেও ভাগ্যে জুটেনি বয়স্ক ভাতা! ভিক্ষাবৃত্তিতে জীবিকা নির্বাহ হয় বিধবার

মোঃ অলিদ মিয়া ॥ মাধবপুরে ৮৭ বছর বয়স হয়েও ভাগ্যে জুটেনি বয়স্ক ভাতা। বিধবা সুন্দরবা  ভিক্ষাবৃত্তি দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করে আসছে! বার্ধক্যের বুজা নিয়ে তর তর করে কাপাঁ শরীর নিয়ে দিনের বেলায় পার্শ্ববর্তি গ্রামগঞ্জে ও হাট বাজারে ভিক্ষা করে নিজের বসত ভিটা না থাকায় অন্যের বাড়ীতে রাত কাটায়।  সুন্দর বানু সংসারে ২ ছেলে ও  ১ মেয়ে রেখে  প্রায় ১৫ বছর পূর্বে তার স্বামী কৃষ্ণপুর গ্রামের তালেব হোসেন দুনিয়া থেকে চির বিদায় নেয়। স্বামী মৃত্যুর প্রায় ৩ বছর পর মেয়ে সমেলা খাতুনকে বিয়ে দেয় একই গ্রামের খোরশেদ মিয়ার নিকট। কন্যা সমেলার সংসারে ৬ সন্তান রেখে বড় ছেলে শাহ আলম পার্শ্ববর্তি চৌমুহনী গ্রামে বিয়ে শ্বশুর বাড়ীতে ঘর সংসার শুরু করে। ছোট ছেলে জাকির হোসেন নিজের সংসার নিয়ে কৃষ্ণপুর গ্রামেই থাকে। ২ ছেলেই নিজেদের স্ত্রী পুত্র সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকায় মায়ের খোজ খবর নেয় না বলে সুন্দর বানু আক্ষেপের সাথে জানিয়েছে। বছর খানেক আগে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মাসুক মিয়ার কাছে বয়স্কভাতার আবদার করে ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের দিয়েছিলেন। অদ্যবধি সেই ভাতা তার ভাগ্যে জুটল না। একমাত্র কন্যা সমেলার গর্ভে ৬ সন্তান জন্ম দিয়ে প্যারালাইস হয়ে সমেলার স্বামী খোরশেদও মারা গেছে। নিজের টানাপোড়ার সংসারে মায়ের খোঁজ মেয়ে নিতে না পারলেও মেয়ে ছেলে জন্য মায়ের মন সর্বদাই কাদে বলে ভিক্ষা করতে আসা সুন্দর বানু কান্না জড়িত কন্ঠে জানিয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান আরিফ জানান-সম্প্রতি বেশ কিছু নাম বয়স্কভাতার তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করার চুড়ান্ত করে দেওয়া হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে ওই মহিলার নাম যতটুকু সম্ভব আছে। যদি কোন কারণে বাদ পড়ে তাহলে অবশ্যই অর্ন্তভুক্ত করা হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর