,

ইনাতগঞ্জে পিতার ভিটেবাড়ি থেকে মাকে তাড়িয়ে দিয়েছে পাষ- পুত্র

শাহ সুলতান আহমেদ ॥ নবীগঞ্জ উপজেলায় বিধবাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে পাষ- পুত্র। একদিকে পুত্র মাকে তাড়িয়ে দিয়ে সম্পত্তি ভোগদখল ও বিক্রি করে সাবাড় করছে। অন্যদিকে বিধবা তার কন্যাকে নিয়ে তার আত্মীয়ের বাড়িতে দুর্বিসহ জীবন যাপন করছেন বলে জানা গেছে। মামলা বিবরণে প্রকাশ, নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ইনাতগঞ্জ বাজারের আলকাব হোসেন মারা যাবার পর তার স্ত্রী মোছাঃ দিলারা বেগম, দুই কন্যা এক পুত্র রেখে যান। এরই মধ্যে একমাত্র পুত্র মোঃ অমর হোসেন কৌশল করতে থাকে কিভাবে তার মা বোনকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে পারে। সে শুরু করে বিভিন্ন কৌশলে মা বোনদের উপর নির্যাতন। প্রথমে সে তার মাকে না জানিয়ে তার পিতার রেখা যাওয়া সাতটি গরু কৌশলে সড়িয়ে চুরি হয়েছে মর্মে এলাকায় প্রচার করে। মা জানতে পারেন তার ছেলেই ওই গরু চুরির সাথে স¤পৃক্ত রয়েছে তাই বিষয়টি নিয়ে সামনে এগিয়ে যাননি তিনি। আদরের ছেলে অমর হোসেন সে তার মায়ের অজান্তে এক লোকের স্ত্রীর সাথে প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বিয়ে করে ঘরে তোলে। এনিয়ে মা ও পুত্রের মধ্যে মানোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। ছেলে অমর মায়ের প্রতি আরো ক্ষিপ্ত হতে তাকে। সে কারণে অকারণে মাকে নির্যাতন করতে থাকে। এরই মধ্যে মা দিলারা বেগম ছেলের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগটি  স্থানীয় ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে আসলে এসআই সামছ উদ্দিন গন্যমান্য লোকদের সমন্বয়ে সালিশ বেঠকের ব্যবস্থা করেন। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খালেদ আহমেদ পাঠান, আওয়ামীলীগ নেতা গোলাম রব্বানী, আমীর হোসেন, আশাইদ আলী আশা, শহিদুল ইসলাম ভুট্্েরা, আলাল মিয়া এবং তার শ্বশুর ইসবপুর গ্রামের মারাজ উদ্দিন। এতে সিদ্ধান্ত হয় তার মাকে সে কোন দিন অত্যাচার ও নির্যাতন করবেনা। এক পর্যায়ে সে তার মায়ের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। কিন্তু কিছু দিন অতিবাহিত হবার পর সে আবারো তার পূর্বে গতি প্রকাশ করে। তার মা বোনকে তাড়িয়ে দেয় বাড়ি থেকে। তাড়িয়ে দেয়ার পর তারা নিকটাত্বীয়দের বাড়িতে অবস্থান করছেন। ওই সুযোগে সে তার পিতার রেখে যাওয়া সহায় সম্পত্তি নবীগঞ্জ বাজারের ঐতিহ্যবাহী লাইব্রেরী আল-হেরা বইঘর বিক্রির করে। তার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ইনাতগঞ্জ বাজারে অবস্থিত আল হেরা বই ঘরের ভাড়ার টাকা, পিতার রেখে যাওয়া প্রায় ৫/৬ হাল জমির ধান বিক্রি করে আত্মসাত করছে। এ ব্যাপারে তার মা দিলারা বেগম জানান, তার পুত্র তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। তাকে কারণে অকারণে নির্যাতন করেছে। বর্তমানে তিনি সিলেট তার এক আত্মীয়দের বাসায় দুর্বিসহ জীবন যাবন করছেন এবং তিনি যদি মারা যান তা হলে পুত্রের নির্যাতনের আবেগ নিয়েই মারা যাবেন।


     এই বিভাগের আরো খবর