,

চুনারুঘাটে কিশোরী ধর্ষনের চিত্র ভিডিওতে ধারন, দুই যুবক আটক

চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ চুনারুঘাটে এক কিশোরী (১৫) কে গণধর্ষণের পর ভিডিও প্রকাশ করার অভিযোগে ২ যুবককে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে আহম্মদাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান সনজু চৌধুরী। গতকাল বুধবার বিকেলে ওই দুই যুবককে স্থানীয় আমুরোড বাজার থেকে আটক করে চুনারুঘাট থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। ধর্ষণের বিষয়ে ২০ মার্চ চুনারুঘাট থানায় ধর্ষিতা কিশোরী ৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। জানা যায়, গত ১৮’ই মার্চ নিজ বাড়ী কালিশিরি হতে আমুরোড বাজার যাওয়ার পথে সুন্দরপুর গ্রামে পৌঁছলে মামলার আসামী এই গ্রামের আঃ গোফারের পুত্র শফিকুল ইসলামসহ অপরাপর আসামীরা থাকে জোর পূর্বক সাতছড়ি জঙ্গঁলে নিয়ে যায়। পরে তারা সবাই মিলে কিশোরীকে গণধর্ষণ করে। পরে ওই ধর্ষণের অপকর্মটি ভিডিও চিত্র ধারণ করে। সেই লোমহর্ষক ভিডিও চিত্রটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে এবং বিভিন্ন মোবাইলে ছড়িয়ে দেয়। সাতছড়ি থেকে ধর্ষিতা ওই কিশোরী আহত অবস্থায় বাড়ীতে এসে বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। বিকেলেই স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে গেলে তিনি তাদেরকে দ্রুত চুনারুঘাট থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে চুনারুঘাট থানার ওসি কে এম আজমিরুজ্জামান এসআই কাশী শর্মাকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পাঠান। পরিদর্শন শেষে এসআই কাশী অভিযোগ আমলে নিয়ে সুন্দরপুর গ্রামের আঃ গোফারের পুত্র শফিকুল ইসলাম (১৮) গোছাপাড়া গ্রামের মৃত কিম্মত আলীর পুত্র নাঈম মিয়া (১৭), কালামন্ডল গ্রামের আরজু মিয়ার পুত্র সাইফুল ইসলাম (১৮) ও হাড়াজোড়া গ্রামের তাহির মিয়ার পুত্র সুজন (১৬) কে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। এদিকে ধর্ষকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিওচিত্রটি প্রচার করেও বীরদর্পে হাট-বাজারে ঘুরাফেরা করতে থাকে। ভিডিওটি স্থানীয় চেয়ারম্যানের নজরে আসলে তিনি ইউপি সদস্য দুলাল ভূইঁয়া ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে তাদের আটক করেন এবং চুনারুঘাট থানার এসআই কাশী শর্মা ও এএসআই সুমনসহ একদল পুলিশ ইউপি অফিসে এসে আটককৃত আসামীদের চুনারুঘাট থানায় নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে চুনারুঘাট থানার ওসি কেএম আজমিরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর