শাহ সুলতান আহমেদ ॥ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার মডেল বাজার নামক স্থানে হবিগঞ্জ-সিলেট এক্সপ্রেস বিরতিহীন যাত্রীবাহি বাস ট্রাকের ধাক্কায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পার্শ্ববর্তী জমিতে পড়ে ঘটনাস্থলেই ৩ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত ৩৫/৪০ জন যাত্রী। শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ, তাজপুরের ফায়ার সার্ভিসের একটি দল স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন। জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টা সিলেট থেকে ছেড়ে আসা হবিগঞ্জগামী হবিগঞ্জ-সিলেট এক্সপ্রেস বিরতিহীন পরিবহন (ঢাকা মেট্রো-ব ১১-০৬৮৬) যাত্রীবাহী বাস পেছনের ট্রাকের ধাক্কায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পার্শ¦বর্তী জমিতে পড়ে ধুমরে মুছরে যায়।
এতে ঘটনাস্থলেই জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের আছদ্দর মিয়ার পুত্র স্থানীয় ইনাতগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের স্নাতক ৩য় বর্ষের মেধাবী ছাত্র কপিল উদ্দিন (২২), হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার করাব গ্রামের জাবেদ আলী স্ত্রী কামরুন নাহার (৬০) ও তাঁর পুত্র খোকন মিয়া (৩২) নিহত হন এবং বাসের ৩৫/৪০ জন যাত্রী গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে শেরপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ফাঁড়িতে নিয়েছে এবং আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহতদের মধ্যে ৮/১০ জন লোক আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। এ ব্যাপারে শেরপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিমল চন্দ্র ভৌমিক জানান, দ্রুত গতির হবিগঞ্জ বিরতীহিন বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়ক থেকে পড়ে এ দূর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় নিহতদের উদ্ধার করে ফাঁড়ি পুলিশের জিম্মায় রাখা হয়েছে এবং আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এদিকে, দূর্ঘটনার খবর পেয়ে নবীগঞ্জ উপজেলার (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গণি ওসমানী ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন। উল্লেখ্য যে, সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ইনাতগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের মেধাবী ছাত্র কপিল উদ্দিন নিহত হওয়ায় শোকে কাতর তার সহপাঠিরা।