,

ব্যবসায়ী আকল হত্যায় ছাত্রলীগ নেতা রুবেল গ্রেফতার, শামীমের স্বীকারোক্তি

চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ চুনারুঘাট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি ও আহলে সুন্নাতওয়াল জামাত উপজেলার সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হোসেন আকল মিয়া হত্যাকান্ডের ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রুবেলকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলা শহর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এনিয়ে এ মামলায় সাইফুল ইসলাম রুবেল, শামীম,  সিএনজি চালক সুমনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়া জড়িত বাকী আসামীদেরকেও গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে চুনারুঘাট থানার ওসি কেএম আজমিরুজ্জামান বলেন, এ মামলাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছে হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশ। তার সাথে মাঠে রয়েছে একাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। মামলাটির তদন্তের স্বার্থে অনেকই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর মধ্যে এ সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকেও আটক করার কথা শুনেছি। তবে বিষয়টি পুরোপুরি ডিবি পুলিশ বলতে পারবে। এসপি বিধান ত্রিপুরা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রুবেলের গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন রবিবার প্রেসব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে। এ ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। অপর দিকে, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার তেজকোনিপাড়া এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে জসিম উদ্দিন ওরফে শামীমকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে শামীম ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম জানান, দীর্ঘ সময় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুলের কাছে জবানবন্দি দেওয়াকালে শামীম হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তিনি আরো জানান, শামীম তার সহযোগীদের নিয়ে আকল মিয়াকে পরিকল্পনা করে হত্যা করেন। মূলত জমি সংক্রান্ত বিরোধের জন্যই তাকে তারা হত্যা করেন। উল্লেখ্য, গত ১ মার্চ বৃহস্পতিবার ভোর অনুমান সাড়ে ৫টায় আবুল হোসেন আকল মিয়া নিজ বাসা থেকে হেটে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য বাল্লা রোডস্থ স্থানীয় আল মদিনা মসজিদে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তরা এ্যালোপাতারি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করলে সিলেট উসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর