,

নবীগঞ্জ উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ

মনিরুল ইসলাম বলেন ‘২০ হাজার তো
অল্প টাকা, আরো বেশি দাবী করেছি’

শাহ সুলতান আহমেদ ॥ নবীগঞ্জ উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্য, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে অভিযোগ করেছেন আছমা বেগম নামের এক নির্যাতিত মহিলা। অভিযোগে প্রেক্ষিতে প্রকাশ, নবীগঞ্জ পৌর এলাকার পিরিজপুর গ্রামের নাজিম উল্লা চৌধুরীর কন্যা আছমা বেগম ও তার পুত্র পারভেজকে বেধরক মারপিট এবং তাকে শ্লীলতাহানীসহ প্রায় ২ শ গজ দৌড়াইয়া হামলার চেষ্টা করে নবীগঞ্জ শহরের বাসিন্দা প্রভাবশালী ছয়ফুল এবং তার শ্যালক হাফিজুর। এ ঘটনায় বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন আছমা বেগম। আদালত তার দায়েরকৃত মামলার তদন্তের জন্য নবীগঞ্জ যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেন। তদন্তের দায়ীত্ব পেয়ে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা দীর্ঘ দিন সময় ক্ষেপন করে উভয় পক্ষকে নোটিশ প্রদান করে মামলার বাদীনি আছমা বেগমকে খবর দিয়ে আনেন। এমনকি মামলার বাদীনিকে ওই কর্মকর্তা বলেন মামলার প্রতিবেদন দিতে হলে ২০ হাজার টাকা দিতেই হবে। এ সময় অসহায় মামলার বাদী এতগুলো টাকা দেওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয় বলে জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা। এমনকি আসামীদের পক্ষে প্রতিবেদন দেওয়ার পূর্ভাবাস দেন। এ ছাড়া তদন্ত চলাকালে বাদী পক্ষের স্বাক্ষীদের জবানবন্দি না শুনেই সাদা কাগজে দস্তখত রেখে বিদায় করে দেন। পরে বিবাদীর কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে সত্য ঘটনাকে মিথ্যা বানিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন ওই কর্মকর্তা। এতে অসহায় মামলার বাদী ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশংকায় রয়েছেন। কোন উপায় না পেয়ে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্য, অনিয়ম ও দূনীতির অভিযোগ তুলে মামলার বাদী আছমা বেগম গতকাল মঙ্গলবার সকালে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ব্যাপারে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “২০ হাজার কেন? ২০ লাখ বলেন না কেন?, বেশি করে লেখেন, কি আর করবেন?। আপনি ২০ হাজার টাকা চেয়েছেন না আরো বেশি চেয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা বলেন, ২০ হাজার তো অল্প টাকা, আমি আরো বেশি টাকা দাবী করেছি। পরে তিনি বলেন, আমার কাছে মামলা এসেছিল আমি প্রতিবেদন দিয়েছি”।


     এই বিভাগের আরো খবর