,

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা

গত ৮ এপ্রিল রোজ রবিবার দৈনিক বিবিয়ানা পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। উক্ত সংবাদের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা নিম্নে প্রকাশ করিলাম। প্রতিপক্ষ আব্দুল কাদির ডংকিং মেশিন বিক্রি করার কথা বলে দেড় লক্ষ টাকার আত্মসাতের অভিযোগে নবীগঞ্জে শামীমুর রহমানের বিরুদ্ধে আবার ও প্রতারনার মামলা হয়েছে। উক্ত সংবাদের বিরুদ্ধে আমি প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি। প্রতিপক্ষ আব্দুল কাদির তিনি একজন মিথ্যুাক চাদাবাজ ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক এছাড়াও তার বিরুদ্ধে একাদিক মামলার আসামী হয়ে নবীগঞ্জ বাজারস্থ শেরপুর রোডে তাহার বোনের জামাই এর বাসাতে বসবাস করেন। আমিও প্রতিপক্ষ আঃ কাদির পাশাপাশি বাসাতে বসবাস করি। এরই সুবাদে তাদের সহিত আমার পরিচয় হয়। তিনিও আমি পার্টনারশীপে নবীগঞ্জ বাজারস্থ শেরপুর রোডে জান্নাত এন্টার প্রাইজ নামে আমরা উভয় মিলিয়া একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করি এবং আমার একটি একক মালিকানা ডংকিং মেশিনের অর্ধেক শিয়ার তাহার নিকট ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করিয়া উক্ত মেশিন টি উভয় মিলিয়া এলাকার মেস্তরী দ্বারা বিভিন্ন গ্রামে গভীর নলকুপ বসানোর কাজ করি। প্রতিপক্ষ তিনি বলিয়াছেন যে আমি মেশিন টি তাহাকে সমজাইয়া দেইনাই তাহা সম্পুন্ন মিথ্যা। আমি উপযুক্ত ডকোমেন্ট এর মাধ্যমে মেস্তরী হাসান আহমদ ও আহমদ আলীকে গত ১৮/১২/১৬ইং তারিখে ৩ শত টাকার স্টাম্পের উপর ভাড়া নামা সম্পাদন করিয়াছি। এতে ১. আমি শামীমুর রহমান ও ২. প্রতিপক্ষ আঃ কাদির নাম লিখা আছে এবং মেস্তরী সাইফুর রহমান পিতা আছাব উল্লাহ সাং চরগাঁও কে অনুরূপ ৩ শত টাকার স্ট্যাম্পে ভাড়া নামা সম্পাদন করি এতে ও আমরা উভয় ১. শামীমুর রহমান ২. আঃ কাদির নামে ভাড়া নামা সম্পাদন করা আছে। তারিখ গত ০৫/০৯/২০১৭ইং তার পর ও প্রকৃত সত্যেকে গোপন করে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে বলেন যে তাহাকে আমি উক্ত মেশিন টি সমজাইয়া দেই নাই। প্রতিপক্ষ আঃ কাদির গত ০৪/০১/২০১৮ইং তারিখে আমার নিকট উক্ত ডংকিং মেশিনের অর্ধেক শিয়ার ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করিয়া উক্ত ডংকিং মেশিন টি একক ভাবে আমার মালিকানায় ৩ শত টাকার স্ট্যাম্পের উপর স্মরনার্থ লিপি সম্পাদন করিয়া দেন এবং তাহার নিকট আমার যে বিক্রির স্মরনার্থ লিপি ছিল তাহা আমাকে ফেরত দিবেন বলিয়া জানান। কিন্তু  দুরদান্ত প্রতিপক্ষ উক্ত কাগজটি আমাকে ফেরত প্রদান না করিয়া দেম দিচ্ছি করিতে থাকেন। আমাকে পাঠনারশীপ ব্যবসা থেকে ষড়যন্ত্র করিয়া বিদায় করার হীন চেষ্টা করেন এমনকি গত ১৬-০১-২০১৮ইং তারিখে আমাকে অবৈধ ভাবে উক্ত প্রতিষ্ঠানে তালাবদ্ধ করিলে আমি বাদী হয়ে মাননীয় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ৯৮ ধারায় মামলা করি। মামলা নং ৭১/১৮ (নবী) উক্ত মামলায় আদালত এস. ডব্লিউ আদেশ প্রদান করেন এবং নবীগঞ্জ থানার ওসি সাহেবের জিম্মায় মালামালগুলি রাখার নির্দেশ প্রদান করেন। বর্তমানে উক্ত মামলাটি দেওয়ানী আদালতে রুজু রয়েছে। আমি প্রতিপক্ষ আঃ কাদিরের বিরুদ্ধে আমার ডংকিং মেশিনের লিখিত কাগজ টি ফেরত দেয়ার জন্য হবিগঞ্জের বিজ্ঞ আইজীবি দ্বারা গত ০৬-০৩-২০১৮ইং তারিখে লিগ্যাল নোটিশ করাই। ১২/০৩/২০১৮ইং তারিখে আঃ কাদির রেজিষ্ট্রারী ডাকের মাধ্যমে নোটিশ টি গ্রহন করেন উহার কোনো জবাব প্রদান না করিয়া গত ১৮-০৩-২০১৮ইং তারিখে সি.আর ১৩২ নম্বর মামলা আমার বিরুদ্ধে দায়ের করিলে উক্ত মামলাটি তদন্তের জন্য উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার নিকট প্রদান করা হয় এবং সমাজসেবা দপ্তর হইতে আমার নামে নোটিশ করা হইলে আমি গত ০৫-০৪-২০১৮ইং তারিখে লিখিত জবাব ও আনুসাঙ্গিক কাগজ পত্র দাখিল করি। প্রতিপক্ষ আঃ কাদির তিনি আমাকে প্রতারক বলিয়াছে কিন্তু আমার প্রতারনার কোন মামলা হয় নাই অহেতুক কথাবার্তা  বলিয়া তিনি সমাজে আমাকে হেয় পতিপন্ন করিয়াছেন। বরকতপুর নিবাসী ইয়াদ উল্ল্যা শাহিদ আমার জায়গা জমি নিয়ে মামলা ছিল স্থানীয় মুরব্বিয়ানদের মাধ্যমে উক্ত মামলাটি আপোসে মিমাংসা হইয়াছে। মিমাংসার তারিখ ০৬-০৬-২০১২ ইং কিন্তু আঃ কাদির তিনি একজন সন্ত্রাসী ও চাদাবাজ তাহার বিরুদ্ধে বাউসা নিবাসী তাজুল ইসলাম (গেদু মিয়া) বাদি হয়ে মামলা দায়ের করিয়াছেন মামলা নং সি. আর ২০৩/২০০৮ ইং ধারা ৩৭৯/৩৮৫/৩৮৬/৪৪৭/৫০৬ (২) /৩৪ দঃ বিঃ তা ছাড়া বাজকাশারা নিবাসী হাজি আঃ ছত্তার এর মৎস খামারে মাছ চুরি ও বিষ পালানোর জন্য জাকির মিয়া বাদী হয়ে আঃ কাদির গংদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করিয়ে উক্ত মামলায় আঃ কাদির দীর্ঘ দিন জেল হাজতে ছিলেন। তাহার মুখে এই সমস্ত কথা বলা শোভা পায়না প্রতিপক্ষ আঃ কাদির তিনি অতিত জীবনে কি করেছেন তিনি একবার ভেবে দেখেন নাই তিনি অতিতে চায়ের দোকানের কর্মচারী ছিলেন বাউশা বাজারে আজমাল মিয়ার চায়ের দোকানে তিনি চাকুরি করিয়াছেন এবং স্থানীয় টুকের বাজারে ছলিমুল্লাহর দোকানে কর্মচারী হিসাবে চাকুরি করিয়াছেন তা ছাড়া তিনি দীর্ঘ দিন এলাকায় পেরিওয়ালার ব্যবসা করিয়াছেন তিনি আমার সর্ম্পকে যাহা বলিয়াছেন তাহা আদৌও সত্য নয় মিথ্যা ভিত্তিহীন উদ্দ্যোশ প্রনোদিত ও পাগলের প্রলাপ মাত্র। তিনি শাঁক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করিতেছেন ইহার একমাত্র কারণ আমাকে পার্টনারশীপ ব্যবসা থেকে বিতারিত করার জন্য আমার নিকট উপযুক্ত কাগজ পত্র রয়েছে সময়ে প্রমান করিব আমি সংবাদের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।
প্রতিবাদকারী
মোঃ শামীমুর রহমান
পিতা মৃত: মোঃ দাইম উল্লাহ
সাং পূর্ব জাহিদপুর


     এই বিভাগের আরো খবর