,

নবীগঞ্জে বিদ্যুতের আলো থেকে বঞ্চিত চারটি গ্রাম

শাহ সুলতান আহমেদ ॥ ‘আমরার অপরাধ কিতা? আমরা কিতা কারেন্ট পাইতাম না নি। হারা দেশর মানুষ কারেন্ট পাইছে। আমরা কিতা ইদেশের নাগরিক নায়নি? যদি নাগরিক অই তে কেনে আমরারে কারেন্ট দেওয়া অয়না। জন্মের পর থাকি হাতের বানাইল বাত্তি দিয়া রাইত কাটাই।’ এ কথাগুলো বলছিলেন হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের বিদ্যুৎ থেকে বঞ্চিত ফাদুল্লা, মথুরাপুর, দৌলতপুর ও বানিপাতাসহ চারটি গ্রামের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন। গতকাল সোমবার দুপুরে ওই গ্রামে সরজমিনে গিয়ে বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার লোকদের কাছ থেকে জানা গেছে, স্বাধীনতার পর থেকে ওই গ্রামের বিদ্যুতের আলো পৌছেনি। যাদের টাকা আছে চুক্তি করে  বিদ্যুত এনেছেন। যারা বিদ্যুৎ থেকে বঞ্চিত তারা অনেকের কাছে দৌড়াদৌড়ি করেছেন। ভুক্তভোগীগন অবশেষে নবীগঞ্জ -বাহুবল নির্বাচনী আসনের সংসদ সদস্য  এম এ মুনিম চৌধুরী বাবুর কাছে তাদের দুংখের কথা জানান। তিনি তাদের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে শ্রবন করে গত ২০১৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ডিও লেটারের মাধ্যমে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জস্থ পল্লী বিদ্যুত জেলারেল ম্যানাজারের কাছে ডিও লেটার দেন। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট শাখায় খোঁজ খবর রাখা হয়। এরই প্রেক্ষিতে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অনেকবার যোগাযোগ করা হয়। তারা অভিযোগ করে  আরো বলেন শায়েস্তাগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের  জনৈক কয়বর নামের লোক  সম্প্রতি সময়ে ওই চার গ্রামে এসে গেছেন। এ সময় তাদের শান্তনা দিয়েছেন তারা বিদ্যুত পাবেন। কিন্তু অফিসে যাবার পর ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান বিদ্যুৎ পেতে হলে খুঁটির খরচ বাবত এক লক্ষ টাকা দিতে হবে। নতুবা বিদ্যুৎ পেতে অনেক দেরি হবে। ওই এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশা লোকজনদের দীর্ঘদিনের দাবি, কখন পাবেন তারা বিদ্যুৎ?


     এই বিভাগের আরো খবর