,

শায়েস্তাগঞ্জে যত্রতত্র চলছে ট্রাক্টর ॥ বাড়ছে দুর্ঘটনা

শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ আধুনিক পদ্ধতিতে জমি চাষের জন্য দেশজুড়ে জনপিচ্ছ ট্রাক্টর। এ ট্রাক্টর এখন হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় ব্যবহার হচ্ছে ইটভাঁটার মাটি, ইট, খোয়াই নদীর বালু ইত্যাদি মালামাল পরিবহনের কাজে। তবে, বেপরোয়া গতির কারণে এ ট্রাক্টর শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলাবাসীকে করছে আতঙ্কিত। অন্যদিকে ট্রাক্টরের চাকা সহজেই নষ্ট করেছে পৌর শহর, ইউনিয়ন ও ঢাকা- সিলেট মহা সড়কের রাস্তা, যার ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। সরেজমিনে দেখা যায়, সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক, পৌর শহরের প্রতিটি প্রত্যেক ওয়ার্ডের রাস্তা। এমনকি, নূরপুর, ব্রাহ্মনডোরা ও শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়নের গ্রাম অঞ্চলের অভ্যন্তরে দিয়ে চলছে ছোট বড় ট্রলি ও  ট্রাক্টর। ট্রাক্টরের বড় চাকার কারণে উঠে যাচ্ছে রাস্তার কার্পেটিং। এর ফলে সৃষ্টি ছোট বড় গর্তের কারণে একদিকে যেমন বেড়েছে দুর্ঘটনা, অন্যদিকে প্রতিদিন হচ্ছে যানজট। এ ছাড়াও ট্রাক্টরের বেপরোয়া চলাচলে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। মাঝে মধ্যে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে পথচারীরা। বেপরোয়া চলাচলে সবচেয়ে ঝুঁকিতে শায়েস্তাগঞ্জ পৌর শহরের স্কুলগামী শিশুরা। ট্রাক্টরের মালামাল বহন কারনে মহাসড়ক ও পৌর শহরের রাস্তার উপরে পরছে প্রেশার। যার ফলে নষ্ট হচ্ছে রাস্তা। এসব ট্রাক্টর চলাচলে মহাসড়ক, ইউনিয়নের গ্রাম অঞ্চলের ও পৌর শহরের অনেক রাস্তা ফাটলসহ বড় গর্ত হয়ে গেছে। নাম প্রকাশ না করে শায়েস্তাগঞ্জের একাদিক ট্রাক্টর চালক বলেন, রাস্তা নষ্ট হলে পৌর শহরের কাজ মেয়র দেখবে। ইউনিয়নের রাস্তা নষ্ট হলে ইউপি চেয়ারম্যান  দেখবে। আবার মহাসড়ক নষ্ট হলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্তৃপক্ষ দেখবে। রাস্তাদিয়ে ট্রাক্টর চলাচলের জন্য অনুমতি দিয়েছে বলে ট্রাক্টর চালকরা জানান। বিষয়টি নিয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা সড়ক ও জনপথ উপ বিভাগের প্রকৌশলী ইসমাইল হোসেন বলেন, মহাসড়ক ও পৌর শহর রাস্তায় এ সকল ট্রাক্টর ভারী যানবাহন চলাচলের কোন অনুমতি নেই। এলাকায়  কিছু প্রভাবশালীর চত্রচায়ায় এসব ট্রাক্টর যত্রতত্র চলছে। এসব এলাকায় ট্রাক্টর ও ট্রলি দুটোই অবৈধভাবে চলাচল করছে ক্ষমতারবলে। এ ব্যাপারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ ট্রাক্টর চলাচল বন্দ করার জন্য এলাকাবাসী এ দাবী জানান।


     এই বিভাগের আরো খবর