,

জগন্নাথপুরে কালবৈশাখী ঝড়-বৃষ্টির কবলে ধান ॥ শ্রমিক সংকটে কৃষকরা

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি ॥ জগন্নাথপুর উপজেলায় চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ধান কাটা-মাড়াই চলছে তবে পুরোদমে ধান কাটা মাড়াই শুরু হওয়ার পর আবহাওয়া ধানের অনুকুলে থাকলেও বর্তমানে দুই দিন ধরে বৃষ্টি জন্য ধান কাটার প্রতিকুলে চলে যাওয়ায় কৃষক তাদের ধান নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। বিগত কয়েক দিনের থেমে থেমে বৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে গেছে ইরি-বোরো ধান। দফায় দফায় ঝড়, বৃষ্টি কারণে পড়ে গেছে মাঠের আধা-পাকা ধান। এই পড়ে যাওয়া ধান কাটার জন্য পাওয়া যাচ্ছে না শ্রমিক। শ্রমিক পাওয়া গেলেও কৃষকে গুনতে হচ্ছে দ্বিগুন মূল্য। ঝড়ে ধান পড়ে যাওয়ার কারণে বিঘা প্রতি ৪-৫ মন হারে ধানের ফলন কম হবে বলে আশংকা করছেন উপজেলার কৃষকরা। কৃষকদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, পূর্বের বছরগুলোতে এই সময় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ধান কাটা শ্রমিকরা আমাদের এলাকায় আসে। কিন্তু দেশের সব এলাকা গুলোতেও ধান চাষ শুরু হওয়ায় শ্রমিকরা এখন আর তেমন আমাদের এলাগুলোতে আসে না। তাই এ বছর ধান আমরা ধান চাষীতে চরম শ্রমিক সংকটে পড়তে হচ্ছে। জগন্নাথপুর কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ২৩ হাজার ৩শ’ ৩৩ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ২০ হাজার ৩শ’ ৩৩ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় কৃষি অফিসের পরামর্শে সঠিক সময়ে চারা লাগানো, নিবিড় পরিচর্যা, যথা সময়ে সেচ দেওয়া, সার সংকট না থাকায় উপজেলার কৃষকরা ভাল জাতের ধান চাষ করেছেন। নলুয়ার হাওরের কৃষক মোঃ কামাল হোসেন, আবুল কাসেম, মিজানুর রহমান মিজান বলেন, আমরা চলতি মৌসুমে নতুন জাতের ধান জমিতে ধান চাষ করেছি। ধান কাটার শুরুতেই আবহাওয়া ধানের অনুকুলে থাকলেও কয়েকদিনের কালবৈশাখী ঝড়, বৃষ্টি ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমাদের অর্ধেক জমির আধাপাকা ধান পড়ে গেছে। এতে করে বিঘা প্রতি ধানের ফলন অনেক কম হবে। অপরদিকে শ্রমিক সংকটের কারণে সঠিক সময়ে ধান কাটতে পারছি না। উপজেলার রানীগঞ্জ বাজারের ধান ব্যবসায়ী মোঃ আওয়াল মিয়া জানান, এখন পর্যন্ত হাটে তেমন ধান আমদানি শুরু হয়নি। বৈরী আবহাওয়ার কারণে কৃষকরা ধান কাটতে পারছেন না যার কারণে হাটে ধানের আমদানী নেই বললেই চলে। তবে টুকটাক বেচা-কেনা হয়েছে। আশা করছি দুই সাপ্তাহের মধ্যে পুরোদমে ধান আমদানি শুরু হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর