,

নবীগঞ্জে সরকারী রাস্তা দখল করে গেইট নির্মাণ

জন চলাচলে বিঘ্ন ॥ এলাকায় ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জে সরকারী রাস্তার উপর পাকা গেইট ও দেয়াল নির্মাণ করায় সরকারী একাধিক প্রতিষ্টানে যাতায়াতসহ জন চলাচলে চরম ভোগান্তি ও বিঘ্ন দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই রাস্তাটি প্রভাবশালী কর্তৃক বন্ধ করে দেয়ায় চরম বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীও। রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী লোকজন বাঁধা দিলে তাদেরকে প্রাণনাশের হুমকী প্রদান করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে গ্রামবাসী উক্ত রাস্তাটি খোলে দিয়ে জন দূর্ভোগ লাঘব করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।  স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়ক থেকে ভায়া উপজেলার কুর্শি গ্রামের সরকারী ওই রাস্তা দিয়ে কুর্শি ও ষাইট কাহন গ্রামের শিক্ষার্থীরাসহ লোকজন দীর্ঘদিন ধরে চলাচল করে আসছে। কিন্তু একই গ্রামের প্রভাবশালী আব্দুর রহিম ও আব্দুল গফুর সরকারী এই রাস্তাটি বন্ধ করে পাকা গেইট নির্মাণ করে বন্ধ করে তেয়ার জন্য নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। এক পর্যায়ে সরকারী রাস্তা বন্ধ করে জনচলাচলে প্রতিবন্ধকতা যেন সৃষ্টি না হয় এর জন্য বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালতে ৫৩/৮৬ নং মামলা দায়ের করা হয়। উক্ত মামলায় ১৯৮৬ সালে বিজ্ঞ বিচারক লোকজনের চলাচলের রাস্তা হিসেবে ডিগ্রি প্রদান করেন। ফলে গ্রামবাসী ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে আসছে। ১৯৯৫ ইং সনে সেটেলম্যান্ট জরিপে কুর্শি মৌজাস্থ ১ নং খতিয়ানের সাবেক দাগ ১৪৬৭ হাল দাগ নং ১৪২৬ বাটা ১৮০০ দাগে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসকের নামে ৬ শতক শ্রেণী রাস্তা উল্লেখ করে রের্কডভুক্ত হয়। অথচ একই গ্রামের প্রভাবশালী আব্দুল গফুর ও আব্দুর রহিম রাস্তাটি তাদের বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ায় জোরপূর্বক রাস্তার উপর প্রথমে পাকা গেইট এবং পরে পাকা দেয়াল নির্মাণ করে রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। ফলে কুর্শি ও ষাটকাপন গ্রামের লোকজনের চলাচল বন্ধ হয়ে পরে। অথচ উক্ত রাস্তা দিয়ে পাশে সরকারী কমিউনিটি ক্লিনিক, ২টি স্কুল, ১টি মাদ্রাসা ও ৩টি মসজিদ এবং পাঞ্চাতের ১টি মোকামে যাতায়াত করতে হয়। রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়ায় ওই সব প্রতিষ্টানসহ লোকজনের যাতায়াতে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। গ্রামবাসী রাস্তাটি উন্মোক্ত করে দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যতায় যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের দাঙ্গা, হাঙ্গামার ঘটনার সৃষ্টি হওয়ার আশংকা করছেন গ্রামবাসী।


     এই বিভাগের আরো খবর