,

বাঁশের সাঁকোই ভরসা

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ শায়েস্তাগঞ্জ ও সদর উপজেলার দুই ইউনিয়নের ৩০ গ্রামের মাঝখানে খোয়াই নদীর উপর পাকা সেতু না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে চলাচল করতে হচ্ছে। একটি বাঁশের সাঁকো ও নৌকা দিয়ে চলাচলই  তাদের একমাত্র ভরসা। দুই ইউনিয়নের গ্রামবাসীর দুঃখের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এই সাঁকোটি। সরেজমিনে দেখা যায়, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার চরনূর আহমদ, লেঞ্জাপাড়া, বড়চর, এতবারপুর, কলিমনগর, আলাপুর, জগতপুর, বাতাশর, রতনপুর, হামুয়া, চরহামুয়া, সুদিয়াখলা, বাগুনিপাড়া এবং হবিগঞ্জ সদর উপজেলার উত্তর চরহামুয়া, দক্ষিণচর হামুয়া, হাতিরথান, লস্করপুর, মশাজান, সুলতানশী, নোয়াগাও, বাতাশর, বনগাও, সুঘর, চরহামুয়া, গঙ্গানগর আদ্যপাশা, কটিয়াদি গ্রামের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এ বাঁশের সাঁকোটি। বাঁশের এ সাঁকোটি দিয়েই গ্রামের শতাধিক শিক্ষার্থী প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়, কলেজে, মাদরাসায়, যাতায়াত করে। শুধু শিক্ষার্থীরা নয়, ওই সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন দুই উপজেলার দুই ইউনিয়নের হাজার হাজার লোক জীবনের তাগিদে ও দৈনন্দিন কাজে যেমন যাতায়াত করে তেমনি কৃষকরা কৃষি কাজের জন্য সাঁকোটি ব্যবহার করেন। একদিকে যেমন ঝুকি নিয়ে পারাপার হতে হয় তেমনি প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় এই সাঁকোতে। সংশ্লিষ্ট গ্রামগুলোর কৃষকদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য বিক্রিসহ রোগীর জরুরি চিকিৎসার জন্য নড়বড়ে সাঁকোর ওপর দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। তাদের দাবি খোয়াই নদীর ওপর সেতু নির্মিত হলে পাল্টে যাবে নদীর দুই পাড়ের হাজার মানুষের জীবনযাত্রা। সুলতানশী গ্রামের কৃষক আলখাছ মিয়া বলেন, চাষাবাদের জমি খোয়াই নদীর ওপারে হওয়ায় এই সাঁকো দিয়ে ফসল আনা-নেয়া করতে হয়। প্রতিদিনই এখান দিয়ে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা স্কুলে যাতায়াত করে। এখানে ব্রিজটি নির্মাণ করা হলে উভয় পারাপারের লোকজন উপকৃত হবে। কলিমনগর গ্রামের কৃষক আলফু মিয়া জানান, আমরা দীর্ঘদিন যাবত দাবি জানিয়ে আসছি একটি ব্রিজ নির্মাণ করার। তা হলে আমাদের উভয় পাড়ের মানুষের দূর্ভোগ কমবে।শিক্ষার্থী মইন উদ্দিন আহমেদ জানান, স্কুলে আসা-যাওয়ার সময় অনেক সময়ই তাড়াহুরা করে আসতে হয়। এ সময় দূর্ঘটনার শিকার হতে হয় আমাদের। অনেক সময় আবার কেউ কেউ নদীতে পড়ে যায়। আর এতে করে খাতাসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নদীতে তলিয়ে যায়। ফলে মাঝে মধ্যে স্কুলে যাওয়া সম্ভব হয় না। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আবু জাহির সেকান্দার বলেন, ওই এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি  ব্রিজটা নির্মাণের। আশ কারি দ্রুত এ ব্রিজটির জন্য বরাদ্দ হবে। হবিগঞ্জ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমদুল হক জানান, দুই উপজেলার মধ্যবর্তী স্থানে হওয়ায় ব্রিজ নির্মাণ করতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। আশা করি দ্রুত এ ব্রিজের জন্য বরাদ্দ পাওয়া যাবে।


     এই বিভাগের আরো খবর