,

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদের প্রতিবাদ ও তার ব্যাখ্যা

গতকাল শুক্রবার হবিগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক হবিগঞ্জ এক্সপ্রেস ও দৈনিক হবিগঞ্জ সময় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। প্রতিবাদটি পড়ে আমি অবাক হয়েছি, কারণ নিজে বাঁচতে অন্যায় ভাবে নিরিহ লোককে হয়রানি ও রাহাজানি করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। আমি মোঃ জিয়াউর রহমানের বক্তব্য হচ্ছে, গত বুধবার সকালে আমার নিজ গ্রাম মোতাজিলপুর এর সড়কের মধ্যেখানে তোফানের  কারণে একটি একাশি গাছ উপড়ে গিয়ে বাংলাবাজার টু গোপলার বাজার সড়কের উপর পড়ে যায়। সংবাদটি শোনে আমি অন্যান্য লোকদের সাথে ওই স্থানে যাই। গিয়ে দেখি স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মন্নাফ ওই স্থানে আছেন, এবং তিনি বিভিন্ন গাড়ির চালকদের নিয়ে গাছটি সড়নোর চেষ্টা করছেন। এ সময় তিনি আমাকে বললেন আমার বাড়ি থেকে  একটি দা নিয়ে আসার জন্য। তার আদেশে আমি দা এনে গাছের একটি ডাল কেটে ফেলি। লোকজনদের নিয়ে গাছটি রাস্তার পাশে রাখি এবং ওই গাছটি  পরে তিনি কয়েকজন লোকদের নিয়ে কেটে খন্ড-খন্ড করেন। এ সময় আমি তাকে আমার মজুরি দাবি করলে, তিনি আমাকে মজুরি বাবত কর্তনকৃত গাছের একটি ডাল দিয়ে দেন। এলাকার কিছু লোকজন ওই  গাছ কাটার এবং খন্ড খন্ড করার সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করেন। কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদটি প্রকাশ ও হয় । এরই প্রেক্ষিতে মেম্বার মহোদয় পত্রিকার মাধ্যমে তার প্রতিবাদ করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের ভোটে নির্বাচিত মেম্বার মহোদয় নিজে বাঁচতে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে অবশেষে আমি নিরিহ জিয়াউর রহমানকে ফাঁসাতে চাচ্ছেন। তাই তিনি গতকাল শুক্রবার ওই সব পত্রিকায় আমাকে গাছের ডাল চুরি করেছি মর্মে প্রতিবাদে উল্লেখ করেছেন। যাহা হাস্যকর ছাড়া কিছুই নয়। গাছ কাটার দৃশ্যর ছবি এলাকার বিভিন্ন লোকদের মোবাইল ফোনে এখনো সংরন রয়েছে। ওই সময় মেম্বার মহোদয় কিভাবে লোকজনদের পরামর্শ দিচ্ছেন এবং আমি এ সময় কোন স্থানে অবস্থান করেছিলাম তাহা প্রমান আছে। পরিশেষে আমি বলছি আমি কোন গাছের ডাল চুরি করিনি। মেম্বার মহোদয় আমাকে মজুরি বাবত একটি ডাল দিয়েছেন। যাহা অহরহ প্রমান দিতে পারবো। আমি উক্ত প্রতিবাদের প্রতিবাদ ও  তীব্র নিন্দা জানাই ।
প্রতিবাদের প্রতিবাদকারী
মোঃ জিয়াউর রহমান
পিতাঃ মোঃ আনছার মিয়া
গ্রাম-মোতাজিলপুর
৬ নং কুর্শি ইউনিয়ন
নবীগঞ্জ- হবিগঞ্জ ।


     এই বিভাগের আরো খবর