,

নবীগঞ্জে বাধ নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ সংবাদের প্রতিবাদ ও ব্যাখা

নবীগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক হবিগঞ্জ সময়, দৈনিক বিবিয়ানা, দৈনিক হবিগঞ্জের এক্সপ্রেস, দৈনিক প্রভাকর পত্রিকাসহ স্থানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন পত্রিকাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম “ইনাতগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান বজলুর রশিদের বিরুদ্ধে অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণে তিন লক্ষ আত্মসাত সহ ভিন্ন ভিন্ন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে” ওই শিরোনামীয় সংবাদগুলি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমি প্রকাশিত ওই মিথ্যা, ভিত্তিহীন, মানহানীকর, উদেশ্যে প্রনোদিত সংবাদগুলির তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। একটি কুচক্রি মহল আমার পরিবার ও আমার সামাজিক মর্যাদা হেয় প্রতিপন্ন করতে এবং আমার মান সম্মান ক্ষুন্ন করার হীন উদেশ্যে সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন। তাই আমি প্রকাশিত ওই মিথ্যা সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে, নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান বজলুর রশিদের বিরুদ্ধে অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণে হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তার যোগসাজশে ৩ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্পের সাড়ে ৩ লক্ষ টাকাও তিনি তুলে নেওয়ার পায়তারা করছেন। সংবাদে আরও উল্লেখ করা হয়, কুশিয়ারা নদী প্রকল্প নামে বিবিয়ানা নদীতে নবীগঞ্জ উপজেলা কমিটির সহযোগীতায় ৫নং পিআইসি গঠন করা হয়। সভাপতি হিসাবে ৩নং ইনাতগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান বজলুর রশিদসহ পাঁচ সদস্য নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়। খবরে আরো বলা হয় প্রকল্পের নাম কুশিয়ারা নদী প্রকল্প হলেও কুশিয়ারা নদী হতে দেড় কিলোমিটার ভাটিতে অস্থায়ী বাধ নির্মাণে স্থান নির্ধারণ করা হয় বিবিয়ানা নদীতে। বাঁধের কাজ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নাকি নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেননি প্রকল্প সভাপতি। হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সফিকুল ইসলামের সহযোগীতায় প্রকল্প চেয়ারম্যান বাঁধ নির্মাণে কয়েক লক্ষ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়। এ প্রসঙ্গে আমার বক্তব্য হলো বাঁধ নির্মাণে হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট লোকজন সার্বক্ষনিক তদারকি করেন। তাদের প্রদত্ত ডিজাইন অনুযায়ী বাঁধের কাজ করা হয়। বাঁধে যতটুকু মাটি ফেলা হবে তা পরিমাপ করে কর্তৃপক্ষ বিল প্রদান করে থাকেন। এখানে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার বা আত্মসাত করার কোনো সুযোগ নেই। এছাড়া রয়েছে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের তদারকি। ওই বাঁধ নির্মাণে আমি অতিরিক্ত টাকা উত্তোলন করিনি। যা তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে। এখানে উল্লেখিত পত্রিকাগুলোতে কাল্পনিক অভিযোগ এনে আমার ও আমার পরিবারের সম্মানিত সদস্যদের মান সম্মান বিনষ্ট করা হয়েছে। আমি প্রকাশিত এ সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি ও আইনানুগ প্রতিকার দাবি করছি।
প্রতিবাদকারী
বজলুর রশিদ, চেয়ারম্যান, ইনাতগঞ্জ ইউপি, নবীগঞ্জ।


     এই বিভাগের আরো খবর