,

চুনারুঘাটে ইভটিজিং মামলার বাদী ও স্বাক্ষীর বিরুদ্ধে গ্রামবাসীর সভা

চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ ইভটিজিং মামলার বাদী ও স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার প্রতিবাদে সভা করেছে চুনারুঘাট উপজেলার ছনখলা গ্রামবাসী। গতকাল বৃহস্পতি বার সকাল ১০টায় গ্রামের ইদগাহ মাঠে সভাটি অনুষ্ঠঠিত হয়। সভায় গ্রামের মুরুব্বিয়ান, যুবসমাজ সহ সর্ব সাধারণ উপস্থিত হন। গ্রামের বয়োজেষ্ঠ মুরব্বী হাজ্বী আক্কাছ আলীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, গ্রামের মুরব্বী কাজী শাফি উদ্দিন, জয়নাল আবেদীন, আবুল বাশার, হাজী আমির আলী, আঃ শহিদ, আঃ গণি, মাহমুদ আলী, চান্দ মিয়া, ছায়েদ আলী, আলফাজ উদ্দিন, তাইজ উদ্দিন, নুর মোহাম্মদ প্রমূখ। সকল বক্তারাই বলেন, ওই গ্রামের মৃত আঃ আজিজের পুত্র হযরত আলী, মৃত তারা মিয়ার পুত্র পিরুজ মিয়া, নুর মিয়ার পুত্র ফুল মিয়া, মৃত লাল আজিজের পুত্র রফিক মিয়া, মৃত গোলাম হোসেনের পুত্র রমজান আলী তারা কেওই আদম ব্যবসায়ী কিংবা মানব পাচারকারী নয়। তারা সমাজের আর ১০ জন ভালো মানুষের মতই। গত ৬ এপ্রিল জারুলিয়া গ্রামের উস্তার মিয়ার পুত্র আক্তার মিয়া, হিরা মিয়ার পুত্র দুরুদ মিয়া, কাছম আলীর পুত্র ফারুক মিয়া, নুরল হকের পুত্র শুভ মিয়াকে আসামী করে চুনারুঘাট থানায় মামলা দায়ের করায় মামলার ১নং আসামী আক্তার মিয়ার বাবা উস্তার মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে মামলার বাদী ও স্বাক্ষী গনের উপর মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। উপস্থিত সকলে এর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এ সময় গ্রামবাসী অভিযুক্তদের অভয় দিয়ে বলেন, তাদেরকে নির্দোষ প্রমানিত করতে যা যা প্রয়োজন তারা তা করবেন। প্রয়োজনে বিজ্ঞ আদালতে গিয়ে তারা স্বাক্ষ প্রদান করবেন। স্থানীয় মেম্বার ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে যোগাযোগ করেও উল্লেখিত ব্যক্তিদের আদম ব্যবসা কিংবা মানব পাচারকারীদের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কোনো সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল জারুলিয়া গ্রামের উস্তার মিয়ার পুত্র আক্তার মিয়া (১৭), হীরা মিয়ার পুত্র দুরুদ মিয়া (১৮), কাছম আলীর পুত্র ফারুক মিয়া (৩৫), নুরুল হকের পুত্র শুভ মিয়া (১৭) কে অভিযুক্ত করে ছনখলা গ্রামের মৃত গোলাম হোসেনের পুত্র রমজান আলী চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর তার মেয়ে জারুলিয়া দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রী তহুরা খাতুনসহ আরো কয়েক জনকে উত্যক্ত করণ ও যৌন পীড়নের অভিযোগ দায়ের করেন। তাদের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ এনেছিল গাজীপুর হাই স্কুল এন্ড কলেজের একাধিক ছাত্রী। ২৪ এপ্রিল উক্ত মামলার ১নং আসামী আক্তার মিয়ার পিতা উস্তার মিয়া বাদী হয়ে ছনখলা গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দিনের পুত্র শাহজাহান মিয়া (৪০), মৃত আব্দুল আজিজের পুত্র হযরত আলী (৪৫), মৃত তারা মিয়ার পুত্র ফিরোজ মিয়া (৪৮), নুর মিয়ার পুত্র ফুল মিয়া (৩৬), মৃত লাল আজিজের পুত্র রাফিক মিয়া (৪৫), মৃত গোলাম হোসেনের পুত্র রমজান আলী (৫০) কে মানব পাচারের অভিযোগ এনে বিজ্ঞ মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুানালে মামলা দায়ের করেন। যাকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে আখ্যায়িত করেন ছনখলা গ্রামবাসী।


     এই বিভাগের আরো খবর