,

‘আমি যাকে যখন ধরি ভালো করেই ধরি’ -প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সময় ডেস্ক ॥ ভারতের কাছে কোনো প্রতিদান চান না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারতকে যা দিয়েছি তা তারা সারা জীবন মনে রাখবে। চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের বিষয়ে তিনি বলেছেন, মাদকের  সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত তাদের ছাড় দেয়া হবে না। আমি যাকে যখন ধরি, ভালো করেই ধরি। গতকাল বুধবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হলেও প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দেন। তিস্তা চুক্তির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সফরে এ চুক্তির বিষয় ছিল না। এছাড়া এ বিষয়টি যৌথ নদী কমিশন দেখবে। পরিকল্পনা ছাড়া তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্প করার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পানি সমস্যা সমাধানে নদী খনন, পুকুর সংস্কার ও খাল কাটার মতো প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারত আমাদের ক্ষমতায় আনবে কিনা জানি না তবে প্রতিদিনের বোমাবাজি গুলি থেকে আমরা তাদের শান্তি ফিরিয়ে দিয়েছি। এটা তাদের মনে রাখতে হবে। মাদকবিরোধী অভিযানে বড় ব্যবসায়ী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জড়িত সদস্যদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কে গডফাদার? কে ডন? কে কার ভাই? কে
কার চাচা এগুলোর বিচার করছি না। তবে যে যত প্রভাবশালীই হোক না কেন, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। আমি যখন ধরি, ভালো করেই ধরি। তিস্তা চুক্তি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জানান, আমি কারও আশ্বাসে ভরসা রেখে চলি না। এ নিয়ে জেআরসি আছে। দুই দেশের যৌথ নদী কমিশন আছে, তারা আলোচনা করছে। এই সফরের উদ্দেশ্য তিস্তা চুক্তি ছিল না। দুই দেশের বর্তমান সরকারের এই মেয়াদেই তিস্তা চুক্তি হবে বলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে আশা প্রকাশ করেছেন, সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে শেখ হাসিনা বলেন, উনারা যা বলেছে, সেখানেই থাকেন। প্রতিবেশীদের মধ্যে তিক্ততা থাকতেই পারে। কিন্তু আমার কোনো বক্তব্যে এই তিক্ততা যেন না হয়। তিস্তা চুক্তির বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ নদী কমিশনের আলোচনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন শেখ হাসিনা। এ প্রসঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশের মধ্যে তিস্তা ব্যারেজ নির্মাণের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আপনি তিস্তা ব্যারেজ করলেন কেন? আমরা তো ডাউনস্ট্রিমে। আমরা তিস্তা ব্যারেজ করে এখন পানি পানি বলে চিৎকার করছি কেন?
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারাবাস প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোর্ট মুক্তি না দিলে আমি কি জেলের তালা ভেঙে তাকে নিয়ে আসবো?  উনার মুক্তি চাইতে হলে প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চাক। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচন সংবিধান সম্মতভাবেই হবে। নির্বাচন আমি করবো না, নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন। তিনি বলেন, সংবিধানে যেভাবে নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলা আছে, সেভাবেই হবে। ৫ জানুয়ারি (২০১৪) নির্বাচন ঠেকানোর নামে যারা জ্বালাও-পোড়াও করেছে, তা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এই অপকর্ম যারা করেছে, তারা নির্বাচনে আসলো কী আসলো না, এটা নিয়ে এত হা-হুতাশ কেন?
সংবাদ সম্মেলনে ভারতের আনন্দ বাজার পত্রিকা ‘বাংলাদেশ ভারতের কাছে প্রতিদান চায়’ শীর্ষক প্রকাশিত খবরের সূত্র ধরে সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, ‘আপনি কোন প্রতিদান চেয়েছেন কিনা? চাইলে কোনো আশ্বাস পেয়েছেন কিনা। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি কোনো প্রতিদান চাই না। প্রতিদানের কী আছে? আর কারও কাছে পাওয়ার অভ্যাস আমার কম। দেয়ার অভ্যাস বেশি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি শুধু ভারতে যাইনি। জিয়াউর রহমান কি যাননি? বেগম খালেদা জিয়া কি যান নি? ২০০১ সালে খালেদা জিয়া গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়েছিল ভারতের কাছে। কিন্তু আমি বলেছিলাম, গ্যাসের মালিক জনগণ। ৫০ বছরের গ্যাস মজুদ থাকবে তারপর গ্যাস বিক্রি চিন্তা-ভাবনা করা যাবে। শেখ হাসিনা বলেন, যারা ক্ষমতায় আসার জন্য মুচলেকা দেয় আমি সেই দলের না। ক্ষমতায় আসার জন্য আমি মুচলেকা দেই নাই। তখন আমি শুধু বলেছিলাম আল্লাহ জন দেখে ধন দেন। তারা গ্যাসও পায়নি, গ্যাস বিক্রিও করতে পারেনি। শেখ হাসিনা বলেন, ভারতের অনেক বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ছিল। এ দেশে বিভিন্ন সরকার ক্ষমতায় থেকে তাদের মদত দিয়েছে। আপনাদের মনে নেই ১০ ট্রাক অস্ত্রের কথা? আপনারা ভুলে গেছেন? আপনারা ভুলে যান আমি ভুলি না। সীমান্ত হত্যার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন সীমান্ত হত্যা নেই বললেই চলে। সেটি কমিয়ে এনেছি আমরা। এসময় শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতার বিষয়টিও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে তারা যে আমাদের সমর্থন দিয়েছে, শরণার্থীদের তারা সাহায্য করেছে, লাখ লাখ মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং দিয়েছে। যুদ্ধের ময়দানে একসঙ্গে রক্ত দিয়েছে, আমরা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে সেটা স্মরণ করি। চলমান মাদকবিরোধী অভিযান প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাদক সমাজে একটা ব্যাধির মতো, আপনারাই পত্র-পত্রিকায় লিখেছেন এটি। আপনারা কি চান অভিযান চলুক, না বন্ধ হয়ে যাক? তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখন অভিযান চালায় তখন এটিই স্বাভাবিক যে, এ ধরনের অভিযান চালাতে গেলে কিছু ঘটনা ঘটতেই পারে। এ পর্যন্ত যে কয়টা ঘটনা হয়েছে, আপনারা একটা ঘটনা দেখান যে, নিরীহ কেউ এ ঘটনার শিকার হয়েছেন? অভিযানে এই পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাদকবিরোধী অভিযানে কোনো নিরীহ ব্যক্তি শিকার হলে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেব। এই অভিযান হঠাৎই শুরু হয়নি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন গোয়েন্দা সংস্থা তথ্য নিয়ে নজরদারি চালিয়েছে। এরপরই এই অভিযান চালানো হচ্ছে। অভিযানে বন্দুকযুদ্ধে মৃত্যু নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সমালোচনার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারাই মাদক নিয়ে খবর দিলেন। এখন কিছু হলেই আবার সমালোচনা। তাহলে কি আমি অভিযান বন্ধ করে দেব। অভিযান বন্ধ করে দিলে কী দেশ শান্তি পাবে?
একজন সাংবাদিক জানতে চান মোদি ও মমতার সঙ্গে তিস্তা নিয়ে কী কথা হয়েছে। জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, দ্বিপক্ষীয় সব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে যেখানে আমি গিয়েছিলাম বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধন করতে ও কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগ দিতে। তিস্তা চুক্তি নিয়ে নরেন্দ্র মোদির আশ্বাসের বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা কথা দিয়েছে, কথা যখন দিয়েছে অপেক্ষা করুন। পরে প্রধানমন্ত্রী আবার বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন। আপনারা সেখানেই থাকেন। বর্তমান সরকারের আমলে তিস্তা চুক্তি করার বিষয়ে মোদির আশ্বাসে আস্থা রাখছেন কি না-এমন প্রশ্নও ছিল সংবাদ সম্মেলনে। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার পানির ব্যবস্থা আমাকেই করতে হবে। আমি নদীর ড্রেজিং করছি, জলাধার তৈরি করছি। পানি যেন আপদকালীন সময়ের জন্য থাকে তার ব্যবস্থা করছি। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তিস্তা চুক্তি নিয়ে মমতার বিকল্প প্রস্তাব ভারত সরকার বিবেচনা করছে। এই বিকল্প প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য কি না-এমন প্রশ্নও ছিল প্রধানমন্ত্রীর কাছে। উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব কথা এখন জানার দরকার নেই। এটা ভারতের বিষয়। সেটা তাদের কাছে জানতে চান। আমার কাছে নয়। পানি নিয়ে সরকার নিজেরাই ব্যবস্থা করছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, সেই পানি না এলে চলবে না, সেটা না। নিজেরা ড্রেজিং করছি। ব্রহ্মপুত্র নদ, ধরলা নদী, তিস্তা থেকে শুরু করে কুশিয়ারা, মেঘনা, যমুনা, সবগুলো যেন ড্রেজিং হয়, তার ব্যবস্থা করছি। যার ফলে আমাদের পানির সমস্যা নিজেরা যেন সমাধান করতে পারি, তার ব্যবস্থা নিচ্ছি। এসময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহা-সচিব রুহুল কবির রিজভীকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাকে এক বালতি পানি পাঠানো উচিত। ওরা তো বলল আমি এক বালতি পানিও আনতে পারিনি। এক বালতি পানি রিজভীকে পাঠিয়ে দেয়া উচিত। একজনকে দায়িত্ব দাও ওকে কয়েক বোতল পানি পাঠিয়ে দিক। রোজার মাস, কাজে লাগবে।
আবারও ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর করছেন বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে এক প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি তো অনেক বোঝে তাহলে আর বলার দরকার নাই। তারাও তো কম যায় নাই। খালেদা জিয়া কি ভারতে যায় নাই? জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করার ২ বছরের মধ্যেই ভারতে গিয়েছিল। কেন গিয়েছিল? সেটা বিএনপিকে জিজ্ঞেস করেন, ক্ষমতা দখল করেই ভারত গিয়েছিল। শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি এখন তিস্তার পানির কথা বলে, বিএনপি নেতাদের কি মনে নাই উনাদের নেত্রী ভারত সফরে গিয়েছিলেন। সফর শেষে এসে বলেছিলেন, ওহ গঙ্গার পানি। সেটার কথা বলতে তো ভুলেই গিয়েছিলাম। সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিকল্পধারার চেয়ারম্যান ডা. একিএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর জাতীয় সরকার গঠন প্রস্তাবের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বদু (বদরুদ্দোজা চৌধুরী) কাকার কি মনে নাই জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতা নিয়েছিলেন, তখন যে হ্যাঁ/না ভোট দিয়েছিলেন, সেই নির্বাচনটা উনি কেমন দেখেছিলেন? এদের মুখে ভোটের কথা শুনলে, পাগলেও হাসবে। অবশ্য তাঁকেও বেশি দিন রাখেননি খালেদা জিয়া। বিদায় নিতে হয়েছে। এখন সব ভুলে গিয়ে তিনি খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করছেন। আসলে একটা কথা আছে না, ‘ওরে মেরেছে কলসির কানা, তাই বলে কি প্রেম দিব না।
ভারত সফর সম্পর্কে লিখিত বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছে। উন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষার পেছনে ভারত সবসময় প্রতিবেশী দেশ হিসেবে পাশে থাকবে। তিনি বলেন, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছে। এই ভবন উভয় দেশের সংস্কৃতির প্রসারে অবদান রাখবে। শেখ হাসিনা বলেন, কুষ্টিয়ায় বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ উদ্যোগে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাহিত্যপ্রেমী ছিলেন। কারাগারেও শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে রবীন্দ্র রচনাবলী থাকত। শেখ হাসিনা বলেন, আমি ভারতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের সহযোগিতার কথা স্মরণ করেছি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন ও রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তিনি বলেন, ২৬শে মে বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সম্মানসূচক ডি.লিট গ্রহণ করি। আমি এটি সমগ্র বাঙালিদের নামে উৎসর্গ করেছি। আমি কবির স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করি। আমি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। তিনি নজরুলের নামে বিশ্ববিদ্যালয় করেছেন। আসানসোলের দুর্গাপুরে নজরুলের নামে বিমানবন্দর করেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির আমন্ত্রণে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন ও সেখানে বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধন করতে ২৫ ও ২৬ মে কলকাতা সফর করেন শেখ হাসিনা। সফরে বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে যোগদান ও বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনে তার সঙ্গে ছিলেন মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী যান পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে। যেখানে জন্ম নেওয়া জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নামে প্রতিষ্ঠিত ‘কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে’র বিশেষ সমাবর্তনে যোগ দিয়ে সম্মানসূচক ‘ডি. লিট’ ডিগ্রি গ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। এরপর কলকাতায় ফিরে নগরীর ভবানীপুরে ‘নেতাজী ভবন’ পরিদর্শনে যান শেখ হাসিনা। দু’দিনের সফর শেষে ২৬ মে রাতে ঢাকায় ফিরেন তিনি।


     এই বিভাগের আরো খবর