,

নবীগঞ্জে নিখোঁজের ৫ দিন পর যুবকের মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার

পুত্রকে না পেয়ে থানায় জিডি করেছিলেন পিতা

মতিউর রহমান মুন্না ॥ নবীগঞ্জ উপজেলায় নিখোঁজের ৫ দিন পর কাউছার মিয়া (১৭) নামের যুবকের মাথা বিহীন লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল ৫ টায় উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নের পানিউমদা (দেওলা বাড়ী) এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। নিহত কাউছার মিয়া ওই গ্রামের হায়দর মিয়ার পুত্র। এ ঘটনায় সন্দেহজনকভাবে পাশ্ববর্তী ছাতল গ্রামের কাছুম আলীর পুত্র দুরুদ মিয়া (২৬)কে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনাকে পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে দাবী করছেন নিহতের স্বজনেরা। অপরদিকে, এঘটনায় নিহতের পরিবারে শোকের মাতম চলছে এবং স্বজনদের আহাজারীতে আকাশ বাতাশ ভারি হয়ে উঠছে। সুত্রে প্রকাশ, নবীগঞ্জ উপজেলার পাহাড়ী অঞ্চল বলে খ্যাত দিনারপুর পরগনার পানিউমদা ইউনিয়নের পানিউমদা গ্রামের পাহাড়ে বসবাস করে আসছেন হায়দর মিয়া ও তার পরিবার। গত মঙ্গলবার রাত ১১ টায় ওই গ্রামের একটি চায়ের দোকান থেকে পাশ্ববর্তী ছাতল গ্রামের কাছুম আলীর পুত্র দুরুদ মিয়ার সাথে বাড়ি ফেরার উদ্দেশে রওয়ানা দেয় কাউছার মিয়া। এর পর থেকে কাউছারের আর কোন খোঁজ খবর মিলেনি। তার খোঁজে পরিবারের লোকজন নিকটাত্মীয় দূরাত্মীয়দের বাড়ীসহ সম্ভাব্য স্থানে খোঁজাখুজি করে কোন সন্ধান না পেয়ে নিরুপায় হয়ে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তার পিতা হায়দর মিয়া নবীগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেন। এদিকে, গতকাল শনিবার বিকেল ৫ টার দিকে জনৈক এক লোক দেওলাবাড়ী নামক নির্জন স্থানে মাথা বিহীন ও ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করে। তার চিৎকার শুনে আশ-পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে  পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেল পারভেজ আলম চৌধুরী নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম আতাউর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এস.এম আতাউর রহমান বলেন, কাউছার মিয়া নিখোঁজ হওয়ার পর তার পিতা থানায় একটি জিডি করেন। শনিবার বিকেলে স্থানীয় লোকজন তার লাশ দেখতে পেয়ে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। ধারণা করা যাচ্ছে এটা একটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকান্ড। নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী বলেন, গত ২৯ মে কাউছার নিখোঁজ হলে ৩১ মে তার বাবা নবীগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেন। পরে শনিবার সন্ধ্যায় কাউছারের মাথাবিহীন লাশটি উল্লিখিত স্থানে দেখতে পেয়ে তারা পুলিশে খবর দেয়। তিনি আরও বলেন, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায়  মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে সুত্রে জানা গেছে।


     এই বিভাগের আরো খবর