,

চুনারুঘাটে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গাছ চুরির মামলা

স্টাফরিপোর্টার : চুনারুঘাট উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান সিএমসি’র সভাপতি ওয়াহেদ আলীর বিরুদ্ধে সংরতি বনের সামাজিক বনায়নের গাছ চুরির অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলায় তার সহোদর খয়ের মিয়াসহ ১১ জন ও অজ্ঞাত আরও ৩০/৩৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। উপজেলার সাতছড়ি রেঞ্জের সাতছড়ি বিটের কাপাইছড়া চা-বাগান সংলগ্ন এলাকার সংরক্ষিত বনে ৪২ হেক্টর সামাজিক বনায়ন করা হয়। এতে উপকারভোগী নিয়োগ করা হয় ৪২ জন। সম্প্রতি সামাজিক বনায়নের প্রায় ৩ হাজার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে পাচারের একটি অভিযোগ হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে উপকারভোগীরা একটি অভিযোগ দায়ের করে। জেলা প্রশাসক মোঃ জয়নাল আবেদীন অভিযোগটি আমলে নিয়ে বিষয়টি মামলাভূক্ত করে সত্য হলে আসামীদের আইনের আওতায় আনার জন্য চুনারুঘাট থানাকে অনুরোধ জানান। এপ্রেক্ষিতে থানার অফিসার ইনচার্জ অভিযোগটি আমলে নিয়ে পাইকপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ওয়াহেদ আলীসহ ৩০/৩৫ জনের বিরুদ্ধে এজহারভূক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ০৭। তারিখ- ১১/০২/২০১৫ইং। মামলার এজাহারে বলা হয়, উপজেলার ৪নং পাইকপাড়া ইউপির অন্তর্গত সাতছড়ি ফরেষ্ট রেঞ্জের আওতাধীন কাপাই চা-বাগান সংলগ্ন ৪২ জন উপকান ভোগীর নামে বিয়াল্লিশ হেক্টর জায়গায় ২০০৭-২০০৮ ইং সালে বিভিন্ন গাছ রোপন করা হয়। কিন্তুু দুঃখের বিষয় গাছ পাচারকারীরা দিনে ও রাতে দেশীয় অস্ত্রের সজ্জিত হইয়া ৩০/৪০জন লোক গাছগুলি প্রতিনিয়ত কর্তন করিয়া নিয়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে সিএমসি’র সভাপতি ও উপজেলা পাইকপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াহিদ আলীর নেতৃত্বে গাছগুলি কর্তন করে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৯ জানুয়ারী হতে ১ ফেব্র“য়ারী পর্যন্তু পাচারকারীরা সাতছড়ি ফরেস্ট রেঞ্জে আওতাধীন কাপাই ছড়া চা-বাগান সংলগ্ন গাছের বাগান হইতে বিভিন্ন জাতের অনুমান ৩ হাজারটি গাছ কেটে নেয়। যাহার মোট মূল্য আনুমানিক ৪০ লাখ টাকা হবে। উক্ত আসামীরা তাদের নিয়োগকৃত পাহারাদারকে হাত পা ভেঙ্গে দেবে বলেও হুমকি দিচ্ছে। অভিযোগে আরো বলা হয়, ইউ/পি চেয়ারম্যান ওয়াহেদ আলীসহ তাহার ভাই খায়ের মিয়া, একই এলাকার ফারুল মিয়া, আরজু মিয়া, কুতুব আলী, সিরাজ মিয়া, কামাল মিয়া, বাচ্চুু মিয়া, লাল মিয়া, হরিদাস ও সুবল মুন্ডা এ গাছ চুরিতে জড়িত।


     এই বিভাগের আরো খবর