,

ইনাতগঞ্জ স্কুলে ইসলাম ধর্মের শিক্ষক নেই শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়

আশাহিদ আলী আশা ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুবিনয় পুরকায়স্থ বিদ্যালয়ের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের নিকট থেকে অবৈধভাবে ২০ টাকা করে চাঁদা আদায় করেন বলে খবর পাওয়ায় গেছে। এ বিষয়ে এলাকার লোকজন জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক জানান বিদ্যালয়ে চাঁদার বিষয়ে আমাদের কোন কিছু জানা নেই। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যা বৃন্দের সাথে আলাপ কালে তারা বলেন আমরা পুজা ও মিলাদ পড়ানোর জন্য এ টাকা ছাত্রছাত্রীর কাছ থেকে এনেছি। দীর্ঘদিন যাবত বিদ্যালয়ে ইসলাম ধর্ম শিক্ষার জন্য স্কুলে মুসলমান শিক্ষক বা শিক্ষিকা না থাকায় বিদ্যালয়ের মুসলমান ছাত্রছাত্রী ইসলাম ধর্ম শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। স্কুলের সহকারী শিক্ষক ফনি ভূষন রায় তিনি সময় মত স্কুলে আসেন না। প্রতিনিয়ত ১০টা ক্লাস শুরু হলে তিনি ১১টার দিকে এসে আবার চলে যান। এলাকার অভিভাবকরা জানান বিদ্যালয়ে অভিভাক প্রতিনিধি থাকা স্বত্ত্বেও স্কুলে উপবৃত্তির টাকা নিয়ে অনিয়ম চলছে। স্কুলে বাউন্ডারী দেয়াল না থাকার কারনে যে কোন সময় দুর্ঘটনা গঠতে পারে। শিক্ষক সংখ্যা মোট আট জন। এদের মধ্যে পুরুষ শিক্ষক হচ্ছে ৫জন এবং মহিলা শিক্ষক হচ্ছে ৩ জন। এদের মধ্যে কোন মুসলমান শিক্ষক বা শিক্ষিকা নেই। জানা যায়, উপজেলার উল্লেখিত বিদ্যালয়ে মুসলমান শিক্ষক বা শিক্ষিকা না থাকার কারনে মুসলমান ছাত্রছাত্রীরা সঠিক ভাবে ইসলাম ধর্ম শিক্ষা অর্জন করতে পারছে না। উল্লেখ্য ঐ বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত মোট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৬০০জন রয়েছে। বেশীর ভাগ ছাত্রছাত্রী মুসলমান। এলাকাবাসীর একান্ত দাবী ঐ বিদ্যালয়ে একজন মুসলমান শিক্ষক বা শিক্ষিকা বিশেষ জরুরী হয়ে দাড়িয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন এলাকার অভিভাবকগণ।আশাহীদ আলী আশা


     এই বিভাগের আরো খবর