,

নবীগঞ্জে ঈদের বাজারে জিনিস কিনতে বিত্তশালীরা এগিয়ে

নিম্ন শ্রেনীর লোকেরা হিমশিম খাচ্ছেন

শাহ সুলতান আহমেদ ॥ অনেকে আশায় রয়েছেন কাল শনিবার রাত পোহালেই ঈদুল ফিতরের ঈদ অনুষ্ঠিত হবে। সমাজের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার-লোকজন যার যার অবস্থান থেকে সাধ্যমতো ঈদের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রতিটি পরিবারেই নতুন জামা-কাপড় কিনে সুসজ্জিত করে রেখেছেন। ওই জামা-কাপড় গায়ে দেবেন শুধূ ঈদের দিন থেকেই। আবার অনেকে এখনো কোন জামা-কাপড় কিনেননি তারা হিমশিম খাচ্ছেন কিভাবে পরিবারের সবার জন্য নতুন জামা কিনবেন। তাদের একদিকে ছোট-ছেলে মেয়েদের ঈদের চাহিদা রয়েছে অনেক। যেকোন উপায়ে তাদের জামা-কাপড়  কিনে দিতেই হবে। এখন কি করবেন? অপরদিকে রমজান মাসের প্রথম থেকেই বিভিন্ন বাজার থেকে বিত্তশালীরা জামা কাপড় কিনেছেন, মধ্যবিত্তরা বিশ রমজান থেকে শুরু করেছেন বিভিন্ন শপিংমহল থেকে জামা কাপড় কিনতে। বিভিন্ন এলাকায়  লোকজনদের কাছ থেকে আলাপকালে জানা গেছে, জামা কাপড় কিনেননি শুধু সমাজের নি¤œ শ্রেণীর লোকেরা। তারা  এখনো প্রতিবেশী ও অন্যের সাহায্যের অপেক্ষায় রয়েছেন। যদি কেউ তাদের পাশে দাড়ান এবং আর্থিক সহযোগীতা করেন সেই সহযোগীতায় তারা নিজের ও পরিবারের জন্য জামা কাপড় কিনে ঈদ করবেন। আরো একটি বিষয় লক্ষ করা গেছে, বিগত দিনের চেয়ে এখন সাহায্যে-সহযোগিতার রেওয়াজ কমে গেছে। অনেক প্রবাসী অভাব-অনটন দেখিয়ে তাদের প্রতিবেশী ও আপনজনকে এড়িয়ে  যাচ্ছেন। তারা একটা কথাই বলছেন, তাদের আগের চেয়ে অর্থনৈতিক অবস্থা তেমন ভাল নেই। এমন ও দেখা গেছে অনেকে নি¤œ শ্রেণীর লোকদের ঈদ উপলক্ষে টাকা করজ দিচ্ছেন, তারা যেনো ওই টাকা ঈদের পর শ্রমিক হিসেবে কাজ করে পরিশোধ করেন। আউশকান্দি বাজারের মুক্তিযোদ্ধা কলোনীতে অবস্থানরত জনৈক লোক জানান, অন্যান্য বছর সাহায্যের টাকা দুই থেকে তিন হাজার হতো। এ বছর কিন্তু হয়নি। এজন্য তার পরিবারের আট সদস্যের জামা-কাপড় কিনা সম্ভব হচ্ছেনা। নবীগঞ্জ বাজারের পরিচিতি এক ভিক্ষুক জানায়, বিগত বিশ বছর যাবত প্রতি বছরই সাহায্যের টাকায় ঈদ করেছেন। এমনকি ওই টাকা থেকে কিছু  টাকা জমা রাখতেন। এ বছর কিন্তু তেমন সাহায্যে পাননি। সচেতন মহল মনে করেন প্রতিটি এলাকার বিত্তশালীরা তাদের আশ-পাশের অসহায় প্রতিবেশীদের খোঁজ খবর নিয়ে যদি সাধ্যমতো তাদের পাশে দাঁড়ান, তাহা হলে নি¤œ, শ্রেনীর লোকদের দুঃখ দুর্দশা কমে যাবে এবং সমাজে শান্তি বিরাজ করবে।


     এই বিভাগের আরো খবর