,

বাহুবলের দ্বিগাম্বর বাজারের শ্মশানের ভূমি অবশেষে দখলমুক্ত

বাহুবল প্রতিনিধি ॥ বাহুবলের পুটিজুরী ইউনিয়নের দ্বিগাম্বর বাজার সংলগ্ন প্রায় ১৩ শতাংশ শ্মশানের ভূমি অবশেষে দখলমুক্ত হলো। গতকাল বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হাসান মুরাদ শ্মশান উন্নয়ন কমিটির সভাপতি করুনাময় দেবের হাতে দখলনামা তুলে দেন। এ উপলক্ষে সকাল ১১টায় দ্বিগাম্বর বাজারে হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্মশানের ভূমির অবৈধ দখল পুনরুদ্ধার, রেকর্ড সংশোধন ও দখল হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জসীম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও শিক পংকজ কান্তি গোপের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হাসান মুরাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রফিকুল ইসলাম। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হিন্দু, জগদীশ মোদক, এড. স্বরাজ বিশ্বাস, হীরেন্দ্র দত্ত, শংকর পাল, বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুক আলী, ইউপি চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন, তারা মিয়া, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মুদ্দত আলী, নীহার রঞ্জন দেব, খন্দকার হারিস মিয়া শিক্ষক স্বপন চন্দ্র পাল। অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াত করেন শিক্ষার্থী এইচ.এম.আবু বক্কর এবং গীতা পাঠ করেন শিক্ষক করুনা রঞ্জন পাল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাসেল চৌধুরী, সাংবাদিক প্রদীপ দাশ সাগর, বিপুল রায়, বিপ্লব রায়, গৌতম দেব, পায়েল আচার্য্য, শ্যামল কান্তি দাশ, মিহির বনিক, গুনেন্দ্র কর, নিশিকান্ত গোপ, অনুকুল দাশ, সত্যেন্দ্র দাশ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক প্রনত গোপ ও সদস্য নৃপেন্দ্র দেবনাথ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, আজকের ঘঠনাটি হবিগঞ্জবাসীর জন্য একটি নতুন বার্তার জন্ম দেবে। অন্যায়ভাবে কোনো মন্দির, মসজিদ, কবর কিংবা শ্মশানের জায়গা কেউ দখল করে রাখতে পারবে না।’ এ ব্যাপারে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে সব সময় জনগনের পাশে থাকার অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেন। উল্লেখ্য, ১৯৫৬ সালের এস এ রেকর্ডের খতিয়ানে বাহুবলের দ্বিগাম্বর এলাকায় এই জমিটি শ্মশানের নামে ছিল। এরপর থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন শ্মশানের কার্যক্রমও পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু মুহিত মিয়া নামের এক ব্যক্তি শ্মশানের জমিটি দখল করে আরএস রেকর্ডের ডিপি খতিয়ানে রেকর্ড করিয়ে নেয়। এরপর থেকে স্থানীয় হিন্দুরা ফুঁসে ওঠে। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাংবাদিক অভিজিৎ ভট্টাচার্য্যরে নেতৃত্বে বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মাহুমুদুল কবীর মুরাদ শ্মশানের দখল হওয়া জমিটি পরিদর্শন করেন এবং দখলকৃত শ্মশানের ভূমি উদ্ধারের আশ্বাস দেন।


     এই বিভাগের আরো খবর