,

হবিগঞ্জে আন্তজার্তিক জনসেবা দিবসে তথ্য প্রযুক্তি সম্পন্ন উন্নত ডিজিটাল বাংলা উপহার দেবার প্রতিশ্রুতি

রফিকুল হাসান চৌধুরী তুহিন ॥ প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী হিসেবে দায়িত্ব পালনে আর শুধু উদাসীনতা নয় বরং বর্তমান এবং ভবিষ্যত তরুন প্রজন্মকে একটি শক্তিশালী তথ্য প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দেয়ার মতো প্রানবন্ত প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে গতকাল শনিবার হবিগঞ্জে পালিত হলো আন্তজার্তিক জনসেবা দিবস। এ উপলক্ষে এদিন সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নিমতলা প্রাঙ্গন থেকে এক বর্নাঢ্য র‌্যালী বের করা হয়। জেলা প্রশাসন, হবিগঞ্জ আয়োজিত এই দৃষ্টিনন্দন র‌্যালীতে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের আওতাধীন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অংশ নেন। এদিকে এই র‌্যালী শোভাযাত্রার পরপরই  অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফজলুল জাহিদ পাভেলের সার্বিক তত্বাবধানে এবং বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট যথাক্রমে তাছলিমা শিরিন, গোলাম মোস্তফা মুন্না ও সজীব কান্তি রুদ্ধ্র এর  সঞ্চালনায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় সভা কক্ষে ওই দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ। এ সময় আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথি সহ অন্যান্য অতিথিদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা পিপিএম বার, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক উপ-সচিব মোঃ সফিউল আলম, এডিশনাল এসপি মোঃ রবিউল আলম, বিটিভি’র প্রতিনিধি আলমগীর খান, সদর আধুনিক হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ মুখলেসুর রহমান উজ্বল, হবিগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাব সভাপতি সমাজ সেবক রফিকুল হাসান চৌধুরী তুহিন সহ প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ। সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক মুরাদ ও পুলিশ সুপার বিধান বলেন, প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী হিসেবে শুধু নয়, সরকারী সার্ভিস রুল অনুযায়ী ওয়াদাবদ্ধ একজন কর্মকর্তা-কর্মচারী হয়ে জনগনের সেবা প্রদানে কোন ক্রমেই আমরা নিজেদের দায়িত্ব বোধ এড়িয়ে যেতে পারি না। বর্তমান সরকারের মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী দেশ ও জনগনের কল্যানে এখন পর্যন্ত শুধু বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানা পদক্ষেপ গ্রহন সহ উন্নত সেবা দিতে নিরলস পরিশ্রমই করছেন না বরং আমাদের মতো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্যও বেতন-ভাতা সহ নানান সুযোগ সুবিধা দিয়েই চলছেন। তিনি সকলকে স্মরন করিয়ে দিয়ে বলেন, সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বাড়ানো বেতন বা আরও কিছু প্রত্যাশার দিকে তাকালেই চলবে না বিভিন্ন দপ্তরের স্ব স্ব অবস্থান থেকে নিজেদেরকে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আন্তরিকতার সাথে বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের সন্তানদের জন্য একটি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার আকাড়খা নিয়ে জনগণকে আরও আরও সেবা প্রদানে মনোযুগী হতে হবে। সাধারন মানুষকেও তাদের প্রাপ্যতা আদায়ে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আরও নির্ভয়ে নিকটে আসতে সুযোগ করে দেয়াই একজন গুড কর্মকর্তা-কর্মচারীর একমাত্র শপথ হওয়া প্রয়োজন। এদিকে সভা শেষে জনগণের সেবা প্রদানে ভূমিকা রাখায় প্রথমবারের মতো জেলার বেশ কয়েকটি সরকারী দপ্তরের কর্মচারীকে ক্রেস্ট ও সনদ দিয়ে সম্মানিত করা হয়। এতে সংশ্লিস্টরা ভেজায় আনন্দিত হয়ে উৎফুল্লচিত্তে বাড়ী যান।


     এই বিভাগের আরো খবর