,

নবীগঞ্জে সরকারী রাস্তা কেটে পুকুর তৈরীর চেষ্টার অভিযোগ, আদালতে মামলা দায়ের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের সাদুল্লাপুর গ্রামের মৃত রইছ মিয়ার পুত্র মোঃ জামাল মিয়া ও তার পুত্র তোফায়েল মিয়ার বিরুদ্ধে সরকারী রাস্তা কেটে পুকুর তৈরীর চেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন একই গ্রামের নিরীহ মোঃ ফজলু মিয়া নামের জনৈক ব্যক্তি। মামলার বিবরণে জানাযায়, উপজেলার সাদুল্লাপুর গ্রামের মৃত পছন উল্লাহর পুত্র মোঃ ফজলু মিয়া সাদুল্লাপুর মৌজার এস.এ ১৮৫৯ ও আর.এস ১৭৬৩ নং দাগের ১১ শতক ভূমির মালিক কল্যানপুর গ্রামের হাজী আক্রম উল্লার পুত্র মোঃ আব্দুল করিম ও মোঃ আব্দুস সহিদের কাছ থেকে ১৯৯৮ইং সালে ৬৭২২ নং রেজিষ্টেরী দলিলমূলে খরিদ করে দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর ধরে সেখানে বসবাস করে আসছেন। বাড়ি নির্মানের পর তার বাড়ি হতে স্থানীয় তাহিরপুর মাদ্রাসা বাজারে যাওয়ার জন্য রাস্তার প্রয়োজন হলে সর্বসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে কুর্শি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ পরিষদের সকল সদস্যদের সহযোগিতায় সরকারী অনুদানে এস.এ ১৮৫৮ দাগের পূর্বপাশ দিয়ে এবং তার খরিদা ১৮৫৯ দাগের পশ্চিম পাশ দিয়ে রাস্তা নির্মান করেন। সেই রাস্তা দিয়া তিনিসহ সর্বসাধারণ চলাফেরা করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। রাস্তা নির্মানের প্রায় ১৪ বছর পর জামাল মিয়া ১৮৫৮ নং দাগে ভূমি ক্রয় করে বাড়ি নির্মান করে বসবাস শুরু করে। ইদানিং জামাল মিয়া এলাকায় প্রচার করছে যে জনগনের চলাচলের রাস্তা খনন করে সেখানে পুকুর নির্মান করবে। জামাল মিয়া পুকুর নির্মান করতে গেলে উভয় পক্ষে দাঙ্গা হাঙ্গামা হয়ে ভয়ানক শান্তি ভঙ্গের আশংকা রয়েছে তাই ফজলু মিয়া বাধ্য হয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশকে শান্তি শৃংখলা রক্ষা করার এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর