,

নবীগঞ্জে মেডিকা হসপিটালের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

গত ২২ই জুন দৈনিক হবিগঞ্জের সময় ও ২৩ই জুন দৈনিক হবিগঞ্জের সমাচার পত্রিকায় এবং ২৪ই জুন দৈনিক হবিগঞ্জের জনতার এক্সপ্রেস পত্রিকায় ভিন্ন ভিন্ন শিরোনামে যেমন” নবীগঞ্জে মেডিকা হসপিটালে দুই নবজাতকের মধ্যে এক শিশুর মৃত্যু” শিরোনামীয় সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। সংবাদে যাহা লিখা হয়েছে, তাহা তথ্যগত ভুল রয়েছে। আমার স্ত্রীর গর্ভকালীন ব্যথা শুরু হলে, তাকে নিয়ে নবীগঞ্জ শহরতলীর মেডিকা হসপিটালে যাই এবং হবিগঞ্জের সদর হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ সার্জন ডাক্তার এস কে ঘোষ তার সিজার সম্পন্ন করেন। আমার স্ত্রীর খিছুনী রোগ ছিল। ডাক্তার আমাকে আগেই বলেছিলেন তাকে আল্টা¯েœাগ্রাম রিপোর্টে আমার নবজাতকের গলায় আতে পেছানো ছিল। যদি তাকে তাৎক্ষনিক অপারেশন (সিজার) না করা হতো, তা হলে মা ও নবজাতক দুজনেরই মৃত্যু ঘটতে পারে। উপরোল্লিখিত পত্রিকা পড়ে জানতে পারলাম যে, আমার স্ত্রীকে বাচ্চা পরিপূর্ণ হবার আগেই তাকে সিজার করা হয়ছে। তাহা আসলে সত্য নয় বরং অতিরঞ্জিত কথা। আল্টা¯েœাগ্রাম রিপোর্টে নবজাতকের বয়স ৩৫ সপ্তাহ প্লাস হয়েছে। ডাক্তার এস কে ঘোষ আমার সম্পূর্ণ লিখিত অনুমতিক্রমে আমার স্ত্রীকে সিজার করেছেন এবং সফলভাবে সন্তান ভুমিষ্ট হয়েছে। ভুমিষ্ট হবার কয়েক ঘন্টা পর নবজাতকের শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আমি প্রথমে তাকে নিয়ে যাই সিলেট মা-মনি ক্লিনিকে নিয়ে ভর্তি করি। সেখানে তার কোন উন্নতি না হওয়ায় ডাক্তার তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন এবং পরের দিন সেখানে আমার নবজাতক শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করে। হয়তবা তার হায়াত না থাকায় মৃত্যু হয়েছে। এতে আমার এবং আমার পরিবারের কারো কোন মেডিকা হসপিটালের ডাক্তার ও কর্তৃপক্ষের উপর কোন অভিযোগ নেই। আমার স্ত্রী রিমা আক্তার মেডিকা হাসাপাতালে চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। আমার নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে এবং মেডিকা হসপিটালের কর্তৃপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। তাহার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই ।
প্রতিবাদকারী
মোঃ আলমগীর হোসেন
ঘোলডোবা
নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ


     এই বিভাগের আরো খবর