,

নবীগঞ্জের আউশকান্দি ইউনিয়নে ড্রেইন কার্লভার্ট নির্মাণের নামে দুর্নীতির অভিযোগ

সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নে বেতাপুর গ্রামে ড্রেইন কালভার্ট নির্মানের নামে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তদন্তপূর্বক সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী। জানা যায়, এল.জি.এস.পি কর্তৃক আউশকান্দি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বেতাপুর গ্রামের মুহিদ মিয়ার বাড়ি হইতে মহা সড়ক পর্যন্ত দুইটি ড্রেইন কালভার্ট নির্মাণের জন্য ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। গতকাল সোমবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মুহিদ মিয়ার বাড়ির নিকটে একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হলেও মহা সড়ক পর্যন্ত আর কোনো কালভার্ট চোখে পড়েনি। মহা সড়ক অতিক্রম করে সামনে গিয়ে দেখা যায়, ৯নং ওয়ার্ডে নির্মাণাধীন কালভার্টের উপর নেইম প্লেইটে উল্লেখ করা হয়েছে জালালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হইতে ব্রীজ পর্যন্ত। নদীর পাড়ের রাস্তায় সামলাল রবি দাশের বাড়ির নিকট খালের উপর কালভার্ট নির্মাণের জন্য বরাদ্দ-২ লক্ষ টাকা, বাস্তবায়নে ৭নং ওয়ার্ড কমিটি। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, নিম্ন মানের মালামাল ব্যবহার করে কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে, কী রকম দুর্নীতি হলে এক ওয়ার্ডের নেইম প্লেইট অন্য ওয়ার্ডে লাগানো হয় এবং মুহিদ মিয়ার বাড়ি হইতে মহা সড়ক পর্যন্ত দুটি ড্রেইন কালভার্ট নির্মাণের কথা থাকলেও একটি কালভার্ট করা হয়েছে। অপর কালভার্টটি বিশ্বরোড অতিক্রম করে দেয়া হয়েছে। জায়গা মতো কালভার্ট স্থাপন না করায় ইউপি সদস্য হাসান আলী উস্তার মিয়া কালভার্ট নির্মাণে অনিয়ম করে টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ তোলেন এলাকাবাসী। আলী হোসেন নামে স্থানীয় একজন বাসিন্দার সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ড্রেইন ও কালভার্ট নির্মাণ করা কথা থাকলেও শুধু একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে এতেও নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া অপর কালভার্টটি সঠিক জায়গায় স্থাপন করা হয়নি এবং মহা সড়ক অতিক্রম করার পর যে কালভার্ট রয়েছে সেখানে ৯নং ওয়ার্ডের স্থলে ৭নং ওয়ার্ডের অপর একটি বরাদ্দের নেইম প্লেইট লাগানো হয়েছে। এঘটনায় এলাকাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ বিন হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর