,

নবীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষকে ছুরিকাঘাতের ঘটনাকারী মুন্না কারাগারে

মোঃ আলী আরজদ ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার নবীগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম হোসেন আজাদসহ ৩ জন গুরুতর আহতের ঘটনার হামলাকারী দিপন আহমেদ মুন্না আদালতে আত্মসমপর্ন করে জামিন প্রার্থনা করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে হবিগঞ্জ আদালতের বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম তার জামিন না মঞ্জুর করে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেন। সুত্রে প্রকাশ, সম্প্রতি সময়ে ওই কলেজ ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রবেশ করে নবীগঞ্জ পৌর এলাকার মদনপুর গ্রামের নুরুজ্জামান ফারুকীর পুত্র দিপন আহমেদ মুন্না জনৈকা ছাত্রীর সাথে জোরপুর্বক মোবাইলে সেলফি তোলার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম হোসেনের নিকট অভিযোগ দিলে এতে তিনি মুন্নার প্রতি ক্ষুব্ধ হন। পরে মুন্নার পরিবার ওই কলেজ ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি সমাধান করে অধ্যক্ষকে বিষয়টি জানিয়ে যান। এ ঘটনার জের ধরে গত ১৭ জুলাই মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টায় নবীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজে অনার্স পরীক্ষা হলে পরিদর্শনে যাওয়ার পথে মুন্না তার দলবল নিয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে অধ্যক্ষ গোলাম হোসেন আজাদের গলায় ও হাতে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। অধ্যক্ষকে বাচাঁতে কলেজ দপ্তরী ফয়জুর রহমান এগিয়ে আসলে তিনি ও তার ছুরিকাঘাতের আহত হন। এমনকি দিকবেদিক ছুটাছুটি করতে গিয়ে সিড়ি থেকে পড়ে আহত হয় অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্রী চৈতী। এ সময় পরীক্ষা হল থেকে শিক্ষার্থীরা বের হয়ে আসলে মুন্না দ্রুত মোটর সাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। তবে তার সহযোগী একই গ্রামের জলফু মিয়ার পুত্র হুমায়ুন কবিরকে আটক করে পুলিশের নিকট সোর্পদ করা হয়। আহতদের মধ্যে ২ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। অপর আহত কলেজ ছাত্রী চৈতী (১৯) কে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। হামলাকারী দিপন আহমেদ মুন্না আত্মগোপনে থাকার পর গতকাল রবিবার দুপুরে হবিগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে আত্মসমর্পন করলে বিজ্ঞ বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতের নির্দেশ দেন।


     এই বিভাগের আরো খবর