,

নবীগঞ্জে কলেজ ছাত্রীর সাথে আমোদ ফূর্তিতে লিপ্ত থাকার অভিযোগ

ঘুমের ওষুধ খাইয়ে পিতা-মাতাকে অজ্ঞান করে

শাহ সুলতান আহমেদ ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার গ্রাম্য দোকানদার চা-পান করিয়ে পিতা-মাতাকে অজ্ঞান করে কলেজ ছাত্রীর সাথে রাতভর আমোদ-ফূর্তি করার ঘটনায় বাজকাশারাসহ নবীগঞ্জ উপজেলার সর্বত্র তোলপাড় চলছে। আহত অবস্থায় পিতা-মাতাকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চলছে নানা গুঞ্জন। সূত্রে প্রকাশ, কুর্শি ইউনিয়নের বাজকাশারা গ্রামে গত শনিবার দিবাগত রাতে মৃত নাজিম উল্লার পুত্র অসহায় আব্দুর রহিম (৭০) এর বাড়ির পার্শ্বের গ্রাম্য দোকানদার একই গ্রামের সাবেক ইউপি মেম্বার হাছিব উল্লার পুত্র সজলু মিয়া ওই রাত অনুমান সাড়ে ৯ টায় তার দোকান বন্ধ করে প্রতিবেশী অসহায় বৃদ্ধ আব্দুর রহিম মিয়ার ঘরে গিয়ে আদর করে তাকে ও তার স্ত্রী ফাতেমাকে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে চা-পান করায়। এতে আব্দুর রহিম (৭০) তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৫৫) চা-পান করে গভীর ঘুমে নিমজ্জিত হন এবং অভিযোগ উঠে তার কলেজ পড়–য়া জনৈক কন্যার সাথে সজলু রাতভর আমোদ-ফূর্তিতে লিপ্ত হয়। হঠাৎ গভীর রাতে ওই বাড়িতে আলো দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হলে লোকজন যাওয়ার পূর্বেই সজলু কৌশলে স্থান ত্যাগ করে পালিয়ে যায়। পর দিন রবিবার ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে এ ঘটনাকে ধাঁমাচাপা দিতে উঠেপড়ে লাগে সজলু ও তার পিতা সাবেক ইউপি মেম্বার হাসিব উল্লাহ। পরে গতকাল রবিবার সকালে বৃদ্ধ আব্দুর রহিম ও তার স্ত্রী ফাতেমার জ্ঞান ফিরে না আসায় এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে এক পর্যায়ে তাদেরকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ব্যাপারে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুর রহিমের স্ত্রী ফাতেমা জানান ওই রাতে একই গ্রামের হাছিব উল্লাহর পুত্র দোকানদার সজলু মিয়া তাদের আদর করে চা-পান করানোর পর থেকে তারা অজ্ঞান হয়ে পড়েন। আব্দুর রহিমের কনে ও কনের জামাই জানান ঘটনা শোনে তারা বাড়িতে গিয়ে এমন ঘটনা শুনেছেন। অপরদিকে এ ঘটনাটি এলাকায় প্রচার হলে তা ধামাচাপা দিতে হাসিব মেম্বার ও তার পুত্র সজলু বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে। এ ঘটনায় বাজকাশারাসহ নবীগঞ্জ উপজেলার সর্বত্র তোলপাড় চলছে। এলাকার লোকজনের প্রশ্ন ওই রাতে তাদের বাড়িতে কি ঘটেছিল। এ ঘটনায় প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেন এলাকার সচেতন মহলের লোকজন।


     এই বিভাগের আরো খবর