,

জনপ্রশাসন পদক ২০১৮ পেলেন কমলগঞ্জের ইউএনও মাহমুদুল হক

এ পদক প্রাপ্তিতে নবীগঞ্জবাসীও গর্বিত

॥ আনোয়ার হোসেন মিঠু ॥ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে জনপ্রশাসন পদক-২০১৮ গ্রহণ করেছেন মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার সুযোগ্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হক। গত ২৩ জুলাই সোমবার রাজধানীর ওসমাণী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উদযাপন এবং জনপ্রশাসন পদক ২০১৮ বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্টানে ৩৯ জন সরকারী কর্মচারী ও ৩ প্রতিষ্টানকে জনপ্রশাসন পদক ২০১৮ প্রদান করা হয়। এর মধ্যে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার সুযোগ্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হকও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে এ পদক গ্রহন করেন। কমলগঞ্জ উপজেলায় ওয়ান-টু-ওয়ান মনিটরিং এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ঝরেপড়া কমিয়ে আনা এবং নারী শিক্ষাসহ নারীর সামগ্রিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখায় তাকে এ পুরষ্কার দেয়া হয়। মাহমুদুল হক কমলগঞ্জ উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের পূর্বে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলায় উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দুর্নিতীমুক্ত, সততা, যোগ্যতা ও দক্ষতার কারণে নবীগঞ্জ উপজেলাবাসীর প্রাণের মানুষ হিসেবে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে খুবই প্রিয় হয়ে হয়ে উঠেছিলেন। আমি তৎকালীন সময়ে নবীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব পালন করার কারণে সরকারী বেসরকারী প্রায় অনুষ্টানেই তার সাথে দেখা হতো। তার কাজের দক্ষতায় আমি নিজেও অভিভুত হতাম। তার বিদায়ের দু’এক দিন আগের কথা আমি তার অফিসে বসা এক বৃদ্ধ লোক হাতে একটি মোরগ ও একটি কদু(লাউ) নিয়ে হাজির। তিনি হতবাক। আমি নিজেও অবাক। কি ব্যাপর জানতে চাওয়া হলে লোকটি জানান তিনি তার কারনে (মাহমুদুল হক) ন্যায় বিচার পেয়েছিলেন। পরে অনেক কষ্ট করে তাকে বিদায় দিতে হয়েছিল। অনেক লোক তার বিদায়ে কেঁেদছেন পর্যন্ত। আসলে তার মত সৎ নিষ্টাবান লোক প্রশাসনে বর্তমান সময়ে খুবই বিরল। আমার মতে তার কাজের স্বীকৃতির পুরস্কার পেয়েছেন এবং আরো পাবেন। এ পদক তার জন্য যেমন অনেক বড় গৌরব ও সম্মানের। তেমনি জনকল্যাণে আত্মনিয়োগ করতে আরো বেশি উদ্বুদ্ধ করবে বলে অভিমত সচেতন মহলের। এখানে উল্লেখ করতে চাই, সম্প্রতি মৌলভীবাজার জেলায় ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল। অন্য অনেকের মতো তিনিও হয়তো ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কাছের মানুষের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করার পরিকল্পনাও হয়তো ছিলো তার মনে কিন্তু ঈদের দু’দিন আগে ধলাই নদী উজানের পানিতে আচমকা ফুঁসে উঠলো। অনেক স্থানে নদীর বাঁধ ভেঙ্গে অর্ধেক কমলগঞ্জ পানিতে তলিয়ে গেলো। কাছের মানুষের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করা হলো না তার। বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ালেন। শিক্ষা ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা কমলগঞ্জ উপজেলাকে অনেক এগিয়ে নিয়েছেন ইতিমধেই। পাহাড়ী বিভিন্ন নৃগোষ্টীর লোকজনের সাথে যেভাবে মিলেমিশে কাজ করছেন সত্যি তা বিরল। অনেক কিছু লিখার ইচেছ ছিলো তার কাজ সর্ম্পকে কিন্তু সময় হাত বেঁধে দিয়েছে। পরে সুযোগ পেলে অবশ্যই লিখব। এভাবেই তার কর্মদক্ষতা দিয়ে এগিয়ে যাবেন এ প্রত্যাশা করছি।


     এই বিভাগের আরো খবর