,

গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব অযৌক্তিক -কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ

সময় ডেস্ক ॥ কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) বলছে, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নয়। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব অযৌক্তিক বলে সংগঠনটি মনে করছে। এলএনজি ব্যবহারে না আসায় এলএনজি সরবরাহ ব্যয়হার অন্তর্ভুক্ত করে গ্যাসের মূল্যহার বৃদ্ধির প্রস্তাব আমলে নেয়া যায় না। অথচ তা আমলে নেয়া হয়েছে। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির অযৌক্তিক প্রস্তাব ও বাস্তবতা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। ক্যাব-এর কর্মকর্তা আহমেদ একরামুল হক লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় ক্যাব-এর সভাপতি গোলাম রহমান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ূন কবির ভূঁইয়া এবং জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম উপস্থিত ছিলেন। ক্যাব বলছে, পেট্রোবাংলা নিজেকে রেগুলেটর হিসেবে দেখে। ভোক্তারা তা দেখতে পায় না। এ বিরোধ নিষ্পত্তি করতে হবে। গ্যাসখাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণে জ্বালানি উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন গ্যাস সংযোগ কমিটি রদ হতে হবে বলে ভোক্তা আন্দোলনের এই সংগঠনটি মনে করে। ক্যাবের প্রস্তাব ও সুপারিশে বলা হয়েছে, গণশুনানির ভিত্তিতে গ্যাস সরবরাহের সকল পর্যায়ের ব্যয় যাচাই বাছাই ক্রমে গ্যাসের মূল্যহার নির্ধারণে এখতিয়ার এককভাবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)-এর থাকতে হবে। গ্যাস উন্নয়ন তহবিল ও জ্বালানি নিরাপত্তা তহবিল জ্বালানি বিভাগের পরিবর্তে বিইআরসি’র নিয়ন্ত্রণে আনার প্রস্তাব করে। গ্যাস খাতের শতভাগ মালিকানা জনগণের নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্যক্তিখাতে শেয়ার বিক্রি নিষিদ্ধ হতে হবে। ব্যক্তিখাত থেকে শেয়ার সরকারি খাতে ফিরিয়ে আনতে হবে। গ্যাস সংকট থাকা অবধি ইক্যুইটিভিত্তিক রেট অব রিটার্ন নিশ্চিত হতে হবে। স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণে তিতাসকে ব্রেক-ইভেনে পরিচালিত হতে হবে। স্বার্থসংঘাত মুক্ত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি দ্বারা তদন্ত মতে ব্যবস্থা নিতে হবে। ক্যাবের নেতৃবৃন্দ বলেন, আবাসিকে মাসে ৮৮ ঘনমিটার গ্যাস দেয়া সাপেক্ষে বিল ৮শ’ টাকা। সে গ্যাসের ২০ ভাগ পাওয়া যায় না। বাকি গ্যাসের হিসাব আছে কি? গ্রাহক কম গ্যাস পায় বেশি টাকা দেয়। গ্যাস খাত সুরক্ষায় প্রি-পেইড ও ইভিসি মিটার চালুকরণ, অবৈধ নেটওয়ার্ক ও সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ, খরচে সাশ্রয়ী হওয়া ও সাশ্রয়ী মাত্রা নির্ধারণ করা বিইআরসি’র এমন সব আদেশ প্রতিপালনে কেন অগ্রগতি নেই? এসব আদেশ প্রতিপালিত হলে ঢাকা ও চট্টগ্রামে গ্যাস সাশ্রয় হতো ৩০ কোটি ঘনমিটার গ্যাস। গণশুনানিতে পেট্রোবাংলার বক্তব্যে জানানো হয়, সঞ্চালন ও বিতরণ চার্জ ব্যতীত অন্য কোনো চার্জ বা ব্যয় নির্ধারণ করা বিইআরসি’র এখতিয়ারবহির্ভূত। এই বক্তব্যে বিইআরসি আইনের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ বলে ক্যাব মনে করে।


     এই বিভাগের আরো খবর