,

নবীগঞ্জে এক চা দোকানীর উপর কলেজ ছাত্রী ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা নিয়ে তোলপাড়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউপির বাজকাশারা গ্রামে এক চা দোকানীর উপর ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ এনে এক কলেজ ছাত্রীর মামলার ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। মামলাটি নিয়ে পরস্পর বিরোধী খবর পাওয়া গেছে। তবে সড়েজমিন তদন্ত করে ধারনা করা হচ্ছে মামলার বাদি গ্রাম্য কিছু কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। গতকাল সরেজমিন ঘটনাস্থল বাজকাশারা গ্রামে গেলে মিলে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মামলার বাদির পিতা আঃ রহিম কোন কিছু না বললেও তার আপন ছোট ভাই নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সাজানো। মামলার বাদি ওই কলেজ ছাত্রী জানান, ঘটনার দিন সকালে তিনি ঘুম থেকে জেগে ওঠে দেখেন অভিযুক্ত চা দোকানী সজলু মিয়া তার পাশে শুয়ে আছে। এ সময় তিনি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এসে জড়ো হন। এ সময় সজলু ঘর থেকে বের হয়ে চলে যায়। সজলু চলে যেতে কেউ দেখেছেন কি না এমন প্রশ্ন করলে ওই কলেজ ছাত্রী জানান কেউ দেখেনি কিম্বা কেউ দেখেছেন বলে মামলায়ও উল্লেখ করেননি। এছাড়া মামলার বাদি আরো বলেন তিনি তার বোন সেলেনা বেগমকে ফোন করে তাদের বাড়িতে এনে সকাল ১০ টায় তার পিতা মাতাকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করান কিন্তু হাসপাতালের রেজিষ্ট্রি খাতায় দেখা যায় তার পিতাকে বিকেল সোয়া ৫ টায় এবং তার মাকে সোয়া ৬ টায় ভর্তি করা হয়েছে। উপজেলার কুর্শি ইউপির বাজকাশারা গ্রামের বাসিন্দা সাবেক মেম্বার হাসিব মিয়ার পুত্র ২ সন্তানের জনক সজলু মিয়া আঃ রহিমের বাড়ির কাছে প্রায় ১৫/২০ বছর ধরে গ্রামে চা ও মুদি দোকানের ব্যবসা করে আসছে। এর আগে তার বিরুদ্ধে এ ধরনের কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। গ্রামের বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বলে জানাযায়, হাসিব মিয়া ও আঃ রহিম একই গোষ্টির চাচাতো ভাই এবং তাদের সম্পর্কও খুব ভাল ছিল। গ্রাম্য বিরোধের কারনে একটি কুচক্রী মহল ওই কলেজ ছাত্রীকে ফুঁসলিয়ে এ মামলা দায়ের করিয়েছে। এছাড়া মামলার বাদির কথায় ও মামলায় অনেক অসংগতি রয়েছে বলে মনে করেন অভিজ্ঞ মহল। ঘটনাটি সঠিকভাবে তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।


     এই বিভাগের আরো খবর