,

চুনারুঘাটে পূর্ব বিরোধের জের ধরে আহত ৩ ॥ থানায় মামলা

চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের লাতুরগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল মতলিবের পুত্র মোঃ মহিবুল হোসেন (৩৫), আব্দুল হাসিম (৪০), ছালেহ আহমেদ (৩২) একই পরিবারের ৩ জনকে মাথায় কুপিয়ে ক্ষত বিক্ষত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। জানা যায়, গত সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের লাতুরগাঁও গ্রামের মহিবুল হোসেনের নিজ ধান্য জমিতে এ ঘটনাটি ঘটে। আহতদের আত্মচিৎকারে স্থানীয় আশপাশের লোকজনরা এগিয়ে এসে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কর্তব্যরত ডাক্তার মহিবুল হোসেনের আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। বর্তমানে হাসপাতালে মহিবুল হোসেন মৃত্যুর সাথে পাঞ্চাল লড়ছে। অন্যদিকে আব্দুল হাসিমকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করলে সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তার পেটের তলায় পিকলের ঘা’র আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ছালেহ আহমেদ হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহত ছালেহ আহমেদ ও আব্দুল হাসেম জানায়, দীর্ঘদিন যাবত ধরে তাদের জমি সংক্রান্ত নিয়ে উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের লাতুরগাঁও একই গ্রামের মৃত আব্দুজ জাহির ওরফে করম আলীর পুত্র আব্দুন নূর সাবেক মেম্বার, আব্দুল কাদির, জুয়েল মিয়া, কাউছার মিয়া, মোত্তাকিন, আক্তার মিয়া, আব্দুল খালেক, করিম হোসেনের পুত্র মারাজ মিয়া, মধু মিয়া, ফারুক মিয়া। তাদের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ ধরে উভয়ের মধ্যে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একদল দাঙ্গাবাজ জোরপূর্বক মহিবুল হোসেনের তাহার দুই খেদার পাকা ধান জোরপূর্বক কেটে নিলে এ সময় মহিবুল হোসেন, আব্দুল হাসেম, ছালেহ আহমেদ বাধা দিলে উত্তেজিত হয়ে মারাজ মিয়া, মধু মিয়া, ফারুক মিয়া, কাদির মিয়া, খালেক মিয়া, আব্দুন নুরসহ তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দা দিয়ে মাথায় কুপিয়ে ক্ষতবিত করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা চুনারুঘাট থানার ওসি কে এম আজমিরুজ্জামানকে বিষয়টি মোবাইল ফোনে জানালে দ্রুত গতিতে চুনারুঘাট থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ব্যাপারে মহিবুল হোসেনের বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিক মিয়া বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় ১১ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুনারুঘাট থানার এস.আই অলক বড়–য়া মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। ঘটনার পর থেকে মামলার আসামীরা ঘটনার পর থেকে আত্মগোপন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।


     এই বিভাগের আরো খবর