,

বিক্ষোভ মিছিল করে ডিজিএম এর বাসা ও অফিস ঘেরাও ॥ ভাংচুর

টানা ২৩ ঘন্টা বিদ্যুৎবিহীন নবীগঞ্জ ॥ গ্রাহক ভোগান্তি চরমে

আনোয়ার হোসেন মিঠু / মতিউর রহমান মুন্না ॥ শনিবার দিবাগত রাত ২ টা থেকে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত (রবিবার রাত ১ টা) টানা   ২৩ ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকার ফলে পৌর শহরসহ নবীগঞ্জের সকল ধরনের গ্রাহকদের ভোগান্তি চরম আকার ধারন করে। রবিবার সারা দিন প্রচন্ড দাবাদহে অসহনীয় দুর্ভোগে অতিষ্ট হয়ে রাতে আন্দোলনে নামেন বিক্ষুব্ধ জনতা। রাত ১০ টায় শহরের নতুন বাজার এলাকা থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম এর ওসমাণী রোডস্থ ভাড়া বাসা এবং কলেজ রোডস্থ পল্লী বিদ্যুতের অফিস ঘেরাও করে ডিজিএম এর অপসারণ দাবি করে রাত ১২ টা পর্যন্ত বিভিন্ন শ্লোগান দেয় বিক্ষুব্ধরা। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা পল্লী বিদ্যুতের নবীগঞ্জ জোনাল অফিসে গিয়ে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে জানালার গ্লাস ভাংচুর করে। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এস.এম. আতাউর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁেছ বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। পরে বিক্ষোভ মিছিলটি নবীগঞ্জ শহরের নতুন বাজারে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষ হবার ১০ মিনিটের মাথায় বিদ্যুত চলে আসলেও আবার ১০ মিনিট পর চলে যায়। এদিকে, নবীগঞ্জ পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা শনিবার রাত থেকে টানা দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় থাকার ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ গ্রাহকসহ শিল্প প্রতিষ্টান বিশেষ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। টানা দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না বিদ্যুতের অভাবে অসুস্থ রোগীদের চরম বিপদে পড়তে হয়েছে বিশেষ করে শ্বাস কষ্টে আক্রান্ত শিশু ও বৃদ্ধদেরকে নিয়ে মারাত্বক ভোগান্তিতে পড়েন হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। রবিবার সকাল থেকে পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম আব্দুল বারীর সাথে মোবাইল ফোনে ও সরাসরি যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। শহরের এক শিল্প প্রতিষ্টানের মালিক জানান ঈদকে সামনে রেখে সেবামূলক প্রতিষ্টানের নামে গ্রাহকদের সাথে এটা প্রতারণা ছাড়া আর কি হতে পাড়ে। বিদ্যুৎ না থাকার ফলে সকল ধরনের শিল্প প্রতিষ্টান বন্ধ থাকায় লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। টানা বিদ্যুৎ না থাকার কারণে শহরের আবাসিক এলাকাগুলিতে চলে পানির জন্য হাহাকার। বিশেষ করে যারা ২/৩ তলা থেকে ৪/৬ তলা বাসায় যারা বসবাস করেন তাদের অবস্থা ছিল একেবারেই খারাপ। পানির অভাবে চরম বেকায়দায় পড়েন তারা। প্রচন্ড গরমে অতিষ্ট মানুষজনের পানির অভাবে রান্নাবান্নাসহ নানান কাজ ব্যাহত হয়। শহরের আবাসিক এলাকার বিভিন্ন বাসাবাড়িতে বিদ্যুতের অভাবে পানি তুলতে না পাড়ায় বেশীরভাগ মহিলাদের গোসল না করে থাকতে হয়েছে। তবে অনেক লোকজনকে উপজেলা পরিষদের পুকুরসহ বিভিন্ন পুকুরে গোসল করার  ভীড় দেখা গেছে।


     এই বিভাগের আরো খবর