,

নির্বাচন হবেই, ঠেকানোর শক্তি কারও নেই- প্রধানমন্ত্রী

সময় ডেস্ক ॥ আগামী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে হবেই এমন দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, নির্বাচন ইনশাআল্লাহ হবে। জনগণ সঙ্গে থাকলে কেউ ঠেকাতে পারবে না। এ নির্বাচন ঠেকানোর শক্তি কারও নেই। যারা ঠেকাতে চেয়েছিল, আগেরবার তাদের মোকাবেলা করেছিল জনগণ, এবারও মোকাবেলা করবে। নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার ছেলের মৃত্যুর পর সান্তনা দিতে গেলে তার (প্রধানমন্ত্রী) মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তারও আত্মসম্মানবোধ আছে। এখন যে যা-ই বলুন না কেন এবং তিনি ক্ষমতায় থাকেন বা না থাকেন, তিনি অন্তত তাদের (বিএনপি) সঙ্গে বসবেন না। বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য সরকারের কোনো উদ্যোগ কিংবা বাধা কোনোটাই থাকবে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি আসবে না, সেটি তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত। তারা এলে আসবে, না এলে নাই। আর এখানে তো সরকারের বাধা দেওয়া কিংবা দাওয়াত দেওয়ারও কিছু নেই। আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতির ব্যবহারে নির্বাচন কমিশনের পরিকল্পনা ও এতে বিএনপির বিরোধিতা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেছেন, ইভিএমে বিএনপির আপত্তি কোথায়? ইভিএম হলে নির্বাচনে কারচুপি করতে পারবে না বলেই তারা এর বিরোধিতা করছে। রোববার সরকারি বাসভবন গণভবনে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত চতুর্থ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন শেখ হাসিনা। তবে সেখানে বরাবরের মতো এবারও চলমান রাজনীতির বিভিন্ন বিষয়ই প্রাধান্য পেয়েছে। আগামী একশ বছরের জন্য ‘ডেল্টা প্ল্যান’ ঘোষণার সরকারের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালে বাংলাদেশকে কীভাবে দেখতে চাই, এই বদ্বীপকে বাঁচিয়ে রাখা, জলবায়ু পরিবর্তনসহ অন্যান্য অভিঘাত থেকে বাঁচাতে এ পরিকল্পনা। দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতেই ডেল্টা প্ল্যান ২০২১ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে কাজ চলছে। গত মঙ্গলবার একনেকের বৈঠকে আলোচনাসহ আওয়ামী লীগের আগামী নির্বাচনের ইশতেহারে এটি অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। সংবাদ সম্মেলনের মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আরও ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা ছাড়াও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।


     এই বিভাগের আরো খবর