,

নবীগঞ্জে বিএনপি নেতা আঃ রকিবের বিরুদ্ধে মৎস্যজীবীদের হয়রানীর অভিযোগ

ভূমি মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জে বিএনপি নেতা আব্দুর রকিব কর্র্তৃক নিরীহ মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সদস্যদেরকে নানাভাবে হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার মধুমতি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড এর সভাপতি অক্ষুর সরকার ভূমি মন্ত্রী বরাবরে গত ২৯ আগষ্ট এক লিখিত অভিযোগে আব্দুর রকিবের হয়রানির বিবরণ তুলে ধরেন। অভিযোগে তিনি বলেন, উপজেলার পাঞ্জারাই গ্রামের হাজি আব্দুর রহিমের পুত্র উল্লেখিত আব্দুর রকিব একজন অমৎস্যজীবী প্রকৃতির লোক। বিভিন্ন পেশার পরিবর্তন ঘটিয়ে বিএনপি সরকার গঠনের পর তিনি জলমহালের ধান্ধায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তিনি একজন অমৎস্যজীবী হয়েও বিভিন্ন মৎস্যজীবী সমিতি সংগ্রহ করে বেরী বিল, পোয়াভালুয়া বিল, বড় ধুলিয়া বিল, বিবি সেনা বিল, গুলকরা বিল, কলংখা বিল, পারুবাদা, মরকালনী, কাঠমাসহ অসংখ্য বিল সাব লীজ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। অন্যদিকে প্রকৃত মৎস্যজীবী সমিতি গুলোকে করেছেন সর্বশান্ত। আব্দুর রকিব কলংখা বিলে সুমাইয়া মৎস্যজীবী সমিতি দিয়ে লীজে অংশ নেন। আবেদনকারী অক্ষুর সরকার তাদের মধুমতি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি দিয়ে প্রজেক্টে অংশ গ্রহন করেন। মন্ত্রণালয়ের বাছাইয়ে মধুমতি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে উপজেলা ও জেলার সুপারিশ পেয়ে বর্তমানে লীজের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। কিন্তু এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে আব্দুর রকিব প্রথমে মধুমতি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাব লীজ নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে বিলে মৎস্য ফিশিংয়ে গেলে তার লাইসেন্স করা বন্দুক দিয়ে ৩/৪টি মার্ডার করবেন বলে হুমকি দেন। পরে তার পুকুরে মাছ মেরে জনসম্মুখে বলেন আবেদনকারী অক্ষুর সরকারের সমিতির সদস্য নাকি বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলেছে। অথচ আব্দুর রবিকের ফিশারি অক্ষুর সরকারদের বাড়ী থেকে প্রায় ৩০ কিঃমিঃ দূরে অবস্থিত। বর্তমানে আব্দুর রকিব মধুমতি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সদস্যদেরকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে নিয়ে নির্যাতন করার পায়তারা করছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয় ইতিপূর্বে আব্দুর রকিব বেরী বিলে (হালিতলায়) তার বন্দুক দিয়ে ৫০/৬০ জন জেলেকে আহত করেছিল। তার দাপটে এলাকার মৎস্যজীবীরা অতিষ্ঠ। অভিযোগে উল্লেখ করা হয় আব্দুর রকিব মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির কাগজপত্র তুলে নিজেই সীল স্বাক্ষর মেরে হাইকোর্ট ও ডিসি অফিসে দরখাস্ত দিয়ে বহু মানুষকে হয়রানী করছেন। এর প্রতিকার না হলে মৎস্যজীবী ও মৎস্যজীবী সংগঠনগুলো বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে আবেদনকারী অক্ষুর সরকার ভূমি মন্ত্রী মহোদয়ের হস্তক্ষেপ করেছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর