,

যে ভুলের কারণে হারলো বাংলাদেশ

সময় ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের পরাজয়ে শুধু বোলারদের দুষলেই হবে না। ফিল্ডারদের কাছ থেকে একদমই সহায়তা পায়নি বোলাররা। যে কারণে লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা চোখ বুজে তুলোধুনো করেছে বাংলাদেশের বোলারদের। মাশরাফি বিন মর্তুজাদের ভালো বোলিংয়ের পরও বড় সংগ্রহ গড়ে শ্রীলঙ্কা। ব্যাটিংয়ে নামা শ্রীলঙ্কার তিন ব্যাটসম্যানই আউটের সুযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু মাত্র একটি সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। তিলকারতেœ দিলশানের সঙ্গে ১২২ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন লাহিরু থিরিমান্নে। অথচ শূন্য রানে ভাঙতে পারতো এই জুটি। মাশরাফি বিন মুর্তজার করা প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই আসতে পারতো ‘ব্রেক থ্র“’। অফস্টাম্পের বাইরের বল ঠিক ভাবে খেলতে না পেরে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন থিরিমান্নে। সহজ ক্যাচটি ধরতে পারেননি এনামুল হক। তখন শূন্য রানে ব্যাট করছিলেন থিরিমান্নে। শ্রীলঙ্কার রানের থলেও ছিল খালি। নবম ওভারে আবার বেঁচে যান থিরিমান্নে। এবারও মাশরাফির বলে জীবন পান এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তার ব্যাট ছুয়ে বল চলে যায় স্লিপ ও উইকেটের মাঝ দিয়ে। উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম ও এনামুলের কাছে। কিন্তু কেউই সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেননি। সে সময় ২২ রানে ব্যাট করা থিরিমান্নে ব্যক্তিগত ৪৪ রানে আবার জীবন পায়। ২২তম ওভারে আক্রমণে এসেই উইকেট পেতে পারতেন লেগস্পিনার সাব্বির রহমান। এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে বলে ব্যাট লাগাতে পারেননি থিরিমান্নে। যথেষ্ট সময় পেয়েছিলেন মুশফিক। কিন্তু বল নিয়ন্ত্রণে নিতে না পারায় সুযোগটি হারান তিনি। অর্ধশতক করে রুবেল হোসেনের বলে তাসকিন আহমেদের তালুবন্দি হয়ে বিদায় নেন থিরিমান্নে। বোলিংয়ে এটাই বাংলাদেশের একমাত্র সাফল্য। ৩৩তম ওভার থেকে ব্যাটিং পাওয়ার প্লে নেয় শ্রীলঙ্কা। প্রথম ওভারেই উইকেট হারাতে পারতো তারা। কুমার সাঙ্গাকারার দেয়া ফিরতি ক্যাচের সুযোগটি হাতছাড়া করেন তাসকিন। নিজের দ্রুততম শতক পাওয়া সাঙ্গাকারা তখন ২৩ রানে ব্যাট করছিলেন। ৪২তম ওভারে আবার সুযোগ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। রুবেলের বলে পয়েন্টে মুমিনুল হককে সহজ ক্যাচ দেন সাঙ্গাকারা। ক্যাচটি তালুবন্দি করতে পারেননি মুমিনুল, বরং ওভার থ্রো থেকে আরো তিন রান দেন তিনি। তখন ৬০ রানে ব্যাট করা সাঙ্গাকারা শেষ পর্যন্ত ১০৫ রানে অপরাজিত থাকেন। ৪৩তম ওভারে রান আউট করা যেত দিলশানকে। তাসকিনের লো ফুলটস বল এক্সট্রা কাভারে ঠেলে দিয়ে এক রান নিতে চেয়েছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। কিন্তু এনামুলের ততপরতায় রান নেয়া অসম্ভব ছিল। সে সময় দিলশান ও সাঙ্গাকারা প্রায় মাঝ ক্রিজে ছিলেন। সরাসরি থ্রোয়ে উইকেট ভাঙতে চেয়েছিলেন এনামুল, পারেননি তিনি। মুশফিকও এগিয়ে আসেননি। সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা। ১ উইকেটে ৩৩২ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করান তারা। শেষ পর্যন্ত ১৬১ রানে অপরাজিত থাকেন দিলশান।


     এই বিভাগের আরো খবর