,

নবীগঞ্জ-বাহুবলে এমপি বাবু’র মনোনয়ন চূড়ান্ত, জাপা ৫৫ আসন ১৪ দলের শরিকরা পাচ্ছে ২০ আসন

সময় ডেস্ক \ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আবারো মহাজোটগত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এই জন্য জাতীয় পার্টিসহ  আওয়ামী লীগের মিত্র ১৩ দলকে কমপক্ষে ৭৫টি আসন ছেড়ে  দেয়া হচ্ছে বলে ক্ষমতাসীন দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। এর মধ্যে জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কাস পার্টি, জাসদ, তরিকত ফেডারেশন, জেপির বর্তমান  ৪৯ জন সংসদ সদস্যের আসন এবারও ছেড়ে দেবে আওয়ামী লীগ। আর শরিকদলগুলোর চাহিদা মতো বাকি ২৬ আসনও ছাড়ার কথা ভাবছে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা। জানা গেছে, আওয়ামী লীগের  নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক ১৩ দলকে ২০-২৫টি টি আসন ছাড়বে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে জাসদ দুইগ্রæপে ৭টি ওর্য়ার্কাস পার্টি ৫টি, জেপি ২টি তরিকত ফেডারেশন ২টি অন্যান্য দলগুলোকে বাকি  আসন ছাড়ার কথা রয়েছে। অপর দিকে জাতীয় পার্টিকে এবার ৫০ থেকে ৫২টি আসন ছেড়ে দেওয়া হবে বলে দুই দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। এর মধ্যে ৪৫টি আসনে জাপা প্রার্থীদের চলতি মাসের মধ্যেই আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে গ্রিন সিগ্যনাল দেয়া হবে। তবে জাপা এবার আওয়ামী লীগের কাছে ১০০ আসন চেয়েছে। জানা গেছে, এবার রাজধানী ঢাকা শহরে তিনটি আসন জাপাকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এই তিনটি আসন হলো  ঢাকা-৪ সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, ঢাকা-৬ কাজী ফিরোজ রশীদ ও ঢাকা-১৭ এ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এছাড়া নীলফামারী-৪ শওকত চৌধুরী, লালমনিরহাট-৩ জি.এম কাদের, রংপুর-১ মশিউর রহমান রাঙ্গা, রংপুর-৩ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, কুড়িগ্রাম-১ এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান, কুড়িগ্রাম-৩ ডা. আক্কাস আলী, গাইবান্ধা-১ শামীম হায়দার পাটোয়ারী, বগুড়া-২ শরিকুল ইসলাম জিন্নাহ, বগুড়া-৩ নুরুল ইসলাম তালুকদার, বগুড়া-৬ নুরুল ইসলাম ওমর, বগুড়া-৭ আলতাফ আলী, পটুয়াখালী-১ এ.বি.এম রুহুল আমিন হাওলাদার, বরিশাল-৬ নাসরিন জাহান রতœা, জামালপুর-৪ মামুনুর রশীদ, ময়মনসিংহ-৪ রওশন এরশাদ, ময়মনসিংহ-৫ সালাউদ্দিন মুক্তি, ময়মনসিংহ-৮ ফখরুল ইমাম, কিশোরগঞ্জ-৩ মুজিবুল হক, ঢাকা-১ সালমা ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ-৩ লিয়াকত হোসেন খোকা, নারায়ণগঞ্জ-৫ সেলিম ওসমান, সুনামগঞ্জ-৪ পীর ফজলুর রহমান, সিলেট-২ ইয়াহইয়া চৌধুরী, সিলেট-৫ সেলিম উদ্দিন, হবিগঞ্জ-১ আব্দুল মুনিম চৌধুরী বাবু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ জিয়াউল হক মৃধা, কুমিল্লা-২ আমির হোসেন, কুমিল্লা-৮ নুরুল ইসলাম মিলন, লক্ষীপুর-২ মোহাম্মদ নোমান, চট্টগ্রাম-৫ আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৯ জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এবং কক্সবাজার-১ মোহাম্মদ ইলিয়াসের মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়েছে। ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি এবার আওয়ামী লীগের কাছ থেকে ২০টি আসন চাইলে ৫ থেকে ৬টি আসন পেতে পারেন। এই আসনগুলো হলো, পার্টির সভাপতি ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ঢাকা-৮, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশাহ রাজশাহী-২, ঠাকুরগাঁও জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সংসদ সদস্য ইয়াছিন আলী ঠাকুরগাঁও-৩, নড়াইল জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সংসদ সদস্য শেখ হাফিজুর রহমান নড়াইল-২, ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় পলিটবব্যুরোর সদস্য ও সংসদ সদস্য সাতক্ষীরা-১, বরিশাল জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য টিপু সুলতান বরিশাল-৩। জাসদও ২০ থেকে ২৫টি আসন দাবি করলেও তাদেরকে কমপক্ষে ৭টি আসন ছাড়বে আওয়ামী লীগ। আসনগুলো হলো জাসদের  একাংশের সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু কুষ্টিয়া-২, জাসদের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য শিরীন আখতার ফেনী-১, জাসদ স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সংসদ সদস্য রেজাউল করিম তানসেন বগুড়া-৪, জাসদ স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহ জিকরুল আহমেদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫, জাসদের বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরিফ নুরুল আম্বিয়া নড়াইল-১, বাংলাদেশ জাসদের কার্যকরী সভাপতি ও সংসদ সদস্য মঈনুদ্দিন খান বাদল চট্টগ্রাম ৮, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান পঞ্চগড়-১ আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন। জাতীয় পার্টি জেপির চেয়ারম্যান ও পানি সম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পিরোজপুর-২, কুড়িগ্রাম-৪ আসনে রুহুল আমিন মনোনয়ন পেতে পারেন। তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী চট্টগ্রাম-২, তরীকত ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব ও সংসদ সদস্য এম.এ আউয়াল লক্ষীপুর-১ আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন। এ ছাড়া তরীকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী কুমিল্লা-৮ অথবা কুমিল্লা-৯ আসনে মনোনয়ন পেতে চেষ্ঠা করছেন। আওয়ামী লীগের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, মহাজোটের শরিক বর্তমান ৪৯ জন এমপির আসনের পাশাপাশি বাইরে আরো সর্বোচ্চ ২৬ আসন শরিকদের ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের শরিকদের সঙ্গে নির্বাচনে আসন বণ্টনের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে তাহলে জাতীয় পার্টি আলাদা নির্বাচন করবে। আর বিএনপি যদি নির্বাচনে আসে তাহলে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আসন বণ্টন, সমঝোতা এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। সব কিছু নির্ভর করছে মেরুকরণ কিভাবে হবে, সেভাবেই অ্যালায়েন্সের সমীকরণ হবে। জোটগতভাবে নির্বাচন করলে শরিকদের জন্য ৬৫-৭০টি আসন ছেড়ে দেওয়া হবে। সূত্র- দৈনিক কালের কণ্ঠ ও ভোরের ডাক।


     এই বিভাগের আরো খবর