,

গুজব শনাক্তকারী সেল কাজ করবে অক্টোবর থেকে

সময় ডেস্ক : ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, গুগলসহ সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া, মিথ্যা বানোয়াট তথ্য প্রচারের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছে সরকার। আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই তথ্য মন্ত্রণালয় গঠিত গুজব মনিটরিং সেল সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়ে দেবে এই তথ্যটি গুজব, এই সংবাদটি ভুয়া। সেভাবে সংবাদমাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী এড. তারানা হালিম। গতকাল দশম জাতীয় সংসদের ২২ তম অধিবেশনে বেসরকারি সদস্যদের সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের বিধিতে আনা সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের জবাব দিতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত সংরক্ষিত সংসদ সদস্য বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির প্রস্তাবটি ছিল ‘সংসদের অভিমত এই যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক গুজব ছড়িয়ে রাষ্ট্রীয় ও জনজীবন বিশৃঙ্খলা এবং অরাজকতা প্রতিরোধ কল্পে একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হোক। এ সময় তিনি সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কয়েকটি গুজবের তথ্যচিত্র সংসদে তুলে ধরেন এবং দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আহ্বান জানান। তবে মন্ত্রীর ব্যাখার পর রেওয়াজ অনুযায়ী তিনি তার সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি প্রত্যাহার করে নেন। তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাঈদীকে চাঁদে দেখা গেছে, নাসিরনগরে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করা হয়েছে, এ রকম হাজার হাজার গুজব ছড়ানো হয়েছে। নির্বাচনের আগে বিএনপি-জামায়াত সব সময়ই এধরনের কাজ করে থাকে। ৩০০টি ভুয়া ফেইসবুক পেইজ তারা দেশের বাইরে থেকে কার্যকর রেখেছে। তবে যেহেতু সোস্যাল মিডিয়ার বিষয়টি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের। তাই বিটিআরসি এধরনের কনটেন্ট ফিল্টারিং করে থাকে। তাদের সহযোগিতা দিয়ে থাকে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেল (এনটিএমসি)। তাছাড়া একটি টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের অধীনে একটি প্রজেক্ট রয়েছে। যার মাধ্যমে দেশের ভেতর থেকে যেসব কনটেন্ট প্রবেশ করবে সেগুলো ফিল্টার করতে পারবে। এগুলো আইআইজি’র মাধ্যমে ফিল্টার করা হয়। এছাড়া বিদেশের কনটেন্টগুলো ফিল্টার করা খুব কঠিন হয়ে যায়। সেজন্য একটি প্রকল্প এবং ইকুইপমেন্ট হাতে নেয়ার কথা রয়েছে। আমরা তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে যখন দেখেছি এই ধরনের কার্যক্রম হচ্ছে। আমরা চিন্তা করেছি আর কী করতে পারি। আমরা এরইমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছি। তিনি বলেন, আমরা নিবিড়ভাবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং আইসিটিতে যোগাযোগ অব্যাহত রাখব। বিষয়টি সামনে রেখে  ত্বরিতগতিতে দ্রæততার সঙ্গে এক সপ্তারের মধ্যে মনিটরিং নয়, গুজব সনাক্তের জন্য একটি সেল গঠন করে ফেলেছি। গত ১৮ই সেপ্টেম্বর ডিএফপির উপ-প্রধান তথ্য অফিসার, সিনিয়ার তথ্য অফিসার, ফিচার রাইটারদের নিয়ে সেল গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে ৬ জন তথ্য অফিসারও রয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই বৃহৎ কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য বিশাল টিম প্রয়োজন। আমাদের পিআইবিতে লোকবল সংকট রয়েছে। সেখানে লোকবল বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আমাদের টেকনিক্যাল সাপোর্ট গ্রæপের দরকার রয়েছে। নীতিমালা করার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা পুনরায় নির্বাচিত হয়ে আসলে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পূর্ণাঙ্গ সেল গঠন করব। দক্ষ জনবল নিয়ে সংবাদপত্রের পাশাপাশি ওই সেল তথ্য প্রদান করবে।


     এই বিভাগের আরো খবর