,

নবীগঞ্জের কুশিয়ারা নদি থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে

জসিম তালুকদার, নবীগঞ্জ থেকে: নবীগঞ্জের কুশিয়ারা নদি থেকে অবৈধ ভাবে ফের বালু উত্তেলনের মহোৎসব চলছে। গতকাল সোমবার বিকালে সরজমিনে দেখা যায় ৩টি ট্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তেলন করছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। কিছুদিন পর-পর’ই স্থানীয় মেম্বার, ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় রাগব বোয়ালদের ছত্র ছায়ায় অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন হচ্ছে। দিনের বেলায় স্থানীয় প্রশাসনের চোখ পাকি দিয়ে রাতে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে জানা যায় নবীগঞ্জ উপজেলাধীন ডালারপাড় এলাকার ২নং ওয়ার্ড মেম্বার ও স্থানীয় চেয়ারম্যান এর দাপটে চলে এসব অবৈধ বালু উত্তোলন। অনেকবার প্রশাসনের হস্তক্ষেপে কুশিয়ারা নদি থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ হলেও আবার কুঃচক্রি মহল ফের বালু উত্তোলন শুরু করেছে। বেশ কিছুদিন ধরে স্থানীয় কুশিয়ারা এলাকার স্থানীয় অসহায় পরিবার নদি ভাঙ্গনের শিকার কিন্তু কে শুনছে কার সমস্যা ফের বালু উত্তোল হচ্ছে বালু যার ফলে কুশিয়ারা নদির তিরবর্তী এলাকা নদি ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। বালু উত্তোল কারীদের সাথে আলাপকালে বালু উত্তোলন করে স্থানীয় সরকার বিদ্যুৎ পাওয়ার ফ্লান্টের কাজে লাগান এতে এখানে নদি ভাঙ্গন আর স্থানীয় জন-সাধারণ কার কি হল সেটি আমাদের জানা নাই। স্থানীয় অটো রিক্সা গেরেজের মালিক আবুল কালাম আজাদ (০১৭৪৬-৩৫০০৩৫)  এর সাথে আলাপ-কালে তিনি জানান- শুনেছি বালু উত্তোলন করেন স্থানীয় লন্ডন প্রবাসী আব্দুছ সালাম সাহেব এর ছেলে রাজন ও মাহবুব নুর। তাদের বাবা লন্ডনে বসবাস করেন আর ছেলে রাজন ও মাহবুব নুর স্থানীয় সহযোগী ২নং ওয়ার্ড মেম্বার ও চেয়ারম্যান এর সহযোগীতায় কুশিয়ারা নদি থেকে প্রতিদিন অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছেন। যার ফলে এক দিকে কুশিয়ারার তিরবর্তী এলাকার স্থানীয় জন-সাধারন নদি ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না। একদিকে স্থানীয়রা হারাচ্ছেন নদি ভাঙ্গনে তাদের ভিটেবাড়ী অপর দিকে স্থানীয় রাগববোয়ালরা তাদের বালু উত্তোলনের ব্যবসায় করে লক্ষ-লক্ষ হাতিয়ে নিচ্ছে।
অপর দিকে বালু উত্তোলন কারী ডিবিএল কোম্পানীতে কর্মরত বাবু এর সাথে আলাপ-কালে তিনি বালু উত্তোলনের ব্যপারে কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি। স্থানীয় অনেকেই বালু উত্তোলন না করার জন্যে বাধা দেন। কিন্তু স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যান এর দাপটে কুশিয়ারা নদি থেকে বালু উত্তোলনের মহোৎসব থামছেই না। কেউ এ বিষয়ে কথা বল্লে মামলা মুকদ্দমা ও হয়রানীর শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়দই স্থানীরা। কেন? কার অনুমতি নিয়ে বালু উত্তোলন হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে কর্মরত জৈনক কর্মি জানান আমরা জানি সরকারী ভাবে অনুমতি রয়েছে বালু উত্তোলন করার তাই বালু উত্তোলন করছি। এ ব্যপারে নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন অর্থাৎ নির্বাহী কর্মকর্তা রয়েছেন নিরব ভ’মিকায়। কবে বন্ধ হবে নদি ভাঙ্গদের শিকার কুশিয়ারা বালু উত্তোলন কারও জানা নেই এ ব্যপারে। বিশেষ করে স্থানীয়রা জানান দিনের বেলায় অনেক সময় ১টি ট্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা হয়। আর রাতের বেলায় ৩টি ট্রেজার মেশিন হরদম চলে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের কাজে।

 

প্রেরক:
জসিম উদ্দিন তালুকদার
নবীগঞ্জ।


     এই বিভাগের আরো খবর