,

দুর্গাপূজা ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নে গ্রাম পুলিশ সদস্য ও কমিউনিটি পুলিশিং নেতৃবৃন্দকে পুলিশের সাথে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে -এসপি মোহাম্মদ উল্ল্যা

রফিকুল হাসান চৌধুরী তুহিন :: হিন্দু ধর্মালম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব চলতি দূর্গাপুজা ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় রাখা এবং মাদক-ইভটিজিং সহ সকল প্রকার অপরাধ নির্মূলে হবিগঞ্জের উপজেলা মাধবপুর থানা ক্যাম্পাস মিলনায়তনে পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্রাম পুলিশ সমন্বয় সভা ও কমিউনিটি পুলিশিং মত-বিনিময় সভা। সংশ্লিস্ট থানার ইনচার্জ চন্দন কুমারের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় সোমবার দুপুর ও বিকেলে অনুষ্ঠিত এসব সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সহকারী সিনিয়র পুলিশ সুপার রাজু আহমেদ। সেই সাথে উপস্থিত ছিলেন গ্রাম পুলিশ সদস্য এবং কমিউনিটি পুলিশীং কমিটির নেতৃবৃন্দ। উভয় সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা গ্রাম পুলিশ সদস্য ও কমিউনিটি পুলিশিং নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ মুর্হুতে শুরু হচ্ছে হিন্দু ধর্মালম্বীদের সর্ববৃহৎ দুর্গাপূজা। ফলে এই উৎসবটি অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে সংশ্লিস্ট সম্প্রদায়কে সহযোগিতা ও তৎসংশ্লিস্ট আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আসছে ওই সংসদ নির্বাচন এবং আগামী ১০ অক্টোবর ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলার সম্ভাব্য রায়কে ঘিরে কোন জঙ্গী গোষ্টী অথবা বিশেষ মহল তৎপর হয়ে হীন স্বার্থ উদ্ধারে যে কোন বড় ধরনের নাশকতা সৃষ্টি সহ জনগনের জানমালের ক্ষতিসাধন করতে পারে। এ জন্যই নিয়মিত পুলিশের সার্বিক কার্যক্রমের সাথে একত্রিত হয়ে গ্রাম পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সদস্যদেরকে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি আরও আহবান জানিয়ে বলেন, মাধবপুর উপজেলা সহ এই জেলার কোথাও কোন অপরাধ করতে দেয়া হবে না। যে কোন অপরাধমূলক কর্মকান্ড সহনীয় পর্যায়ে রাখাই হতে হবে এই বাহিনীর কাজ। তিনি মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্স ঘোষনা দিয়ে বলেন, মাদক সেবনকারী ও বিক্রেতা এমনকি যোগান বা উৎসাহদাতাদের নাম গোপনে গ্রাম পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশিং নেতৃবৃন্দকে পুলিশ কর্তাদের নিকট দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে গোপন তথ্য দাতাদের নাম গোপন রাখা প্রতিশ্রæতি দিচ্ছে পুলিশ। তবে কোন ভাবেই যাতে কোন নিরপরাধ মানুষের নাম পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে হয়রানীর চেষ্টা করা না হয়। এমন প্রমান পেলে তথ্যদাতাকেও ছাড় দেয়া হবে না। এছাড়াও হাইওয়ে সড়কসহ শহর-গ্রামাঞ্চলে ডাকাতি-চুরি ও ইভটিজিং বন্ধ করতে পুলিশ বদ্ধ পরিকর। ইতিমধ্যে স্ব স্ব থানা ও ফাঁিড়র পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে জনগনের জানমাল রক্ষায় যথাযথ দায়িত্ব পালনে কঠোর হতে। এ ক্ষেত্রে কোন রাজনৈতিক পরিচয় বা প্রভাবশালীদের চাপ সহ্য করা হবে না। একটি অপরাধমুক্ত পরিচ্ছন্ন জেলা উপহার দিতে এবং হবিগঞ্জকে আগামীতে সিলেট তথা পুরো বাংলাদেশের মধ্যে শ্রেস্ট জেলা হিসেবে পরিচিতি পেতে নির্ভয়ে এই তিন বাহিনীর সদস্যদের এখন থেকেই মাঠে নামতে হবে। এদিকে ইতিমধ্যে নানা অপরাধ নির্মূল ও অপরাধীদের গ্রেফতারে সহায়তা করার জন্য গ্রাম পুলিশদের হাতে নগদ আর্থিক পুরস্কার তুলে দেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা।


     এই বিভাগের আরো খবর