,

হবিগঞ্জে এক যুবতীকে মারপিট করে শ্লীতাহানির অভিযোগ

জুয়েল চৌধুরী :: হবিগঞ্জ শহরের কোর্ট স্টেশনে অবস্থিত মদীনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালকের কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ওই ডায়াগনস্টিকের ম্যানেজার যুবতী ও তার সহযোগীকে পিটিয়ে লাঞ্ছিত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা ওই মদীনা ডায়াগনষ্টিক সেন্টার দফায় দফায় ভাংচুর ও ঘেরাও করে রাখে। এক পর্যায়ে তারা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। গতকাল শনিবার বিকাল ৫টায় এ ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে সদর থানার এসআই আবু নাইমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ওই প্রতিষ্ঠানটি উত্তেজিত জনতার হাত থেকে বাচাঁনোর জন্য তালাবদ্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ধল গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের কন্যা ম্যানেজার সৈয়দা আসফা জান্নাত (২৫) জানান, ওই সেন্টারের পরিচালক সিলেট ওসমানী মেডিকের কলেজের অধ্যাপক ডাঃ মুজিবুর রহমান পলাশের প্রতিষ্ঠানে ম্যানাজার হিসেবে কর্মরত আছেন। এ সুযোগে উক্ত ডাক্তার প্রায়ই তাকে কু-প্রস্তাব দিত। এতে সে রাজি না হলে তাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। গতকালও ওই সময় ওই ডাক্তার তাকে পূনারায় কু-প্রস্তাব দেয়। এতে জান্নাত রাজি না হলে তাকে চড় থাপ্পর মারেন ডাক্তার পলাশ। এক পর্যায়ে তাকে বাচাঁনোর জন্য রিসিপশনে থাকা রিচি গ্রামের জামাল মিয়ার কন্যা জেসমিন আক্তার (২০) এগিয়ে আসলে তার উপরও চড়াও হয়। এক পর্যায়ে পলাশসহ তার ২/৩ জন সহযোগী তাদেরকে মারপিট করে শ্লীলতাহানি করে। তাদের চিৎকারে আশপাশে থাকা লোকজন ঘটনাস্থলে এসে জেসমিন ও জান্নাতকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাপসাতালে চিকিৎসা করায়। এ ঘটনার খবর শহরে ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে হামলা ভাংচুর চালায়। অবস্থা বেগতিক দেখে ডাক্তার পলাশ ও তার লোকজন সটকে পড়ে। স্থানীয় জনতা ২ ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। তারা জানান প্রায়ই এই ক্লিনিকে যুবতীরা লাঞ্ছিত হয়ে আসছেন। এর প্রতিবাদ করলে বিভিন্ন মামলার ভয় দেখান ডাক্তার পলাশ। এ কারণে তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। পরে ওসি (তদন্ত) জিয়াউর রহমান অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে বিচারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ ঘটনায় ডাক্তার মুজিবুর রহমান পলাশের সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার নাম্বারে কল দিলে মোক্তা নামে একটি মেয়ে ফোন রিসিভ করে বলেন স্যার আমার নাম্বারে ডাইবাট করে রেখেছেন। আপনি কে? সাংবাদিক পরিচয় দিলে লাইনটি কেটে দেন এবং পরে আর রিসিভ করেনি। এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি মোঃ শহিদুর রহমান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত ওই ২ যুবতীর অভিযোগটি প্রক্রিয়াধীন আছে। সমাধান না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর