,

দলের নীতি ও আদর্শের লড়াই করতে গিয়ে কারাবন্দি আতাউর রহমান সেলিম

সংবাদ সম্মেলনে জেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিনিধি :: হবিগঞ্জ পৌরসভার বিগত নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী ও জেলা যুবলীগ সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম একটি রাজনৈতিক মামলায় সাজার আদেশ থাকায় আত্মসমর্পণ করে বর্তমানে কারাগারে আছেন। এ নিয়ে ধু¤্রজাল সৃষ্টি হয়েছে সর্বত্র। এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিতে হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগ গত মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেলা যুবলীগ সাধারন সম্পাদক বোরহান উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আতাউর রহমান সেলিম জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে তিন টার্ম যাবৎ জেলা যুবলীগের সভাপতি হিসাবে দলকে তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠিত করেছেন। কিন্তু তাকে বিরোধী শক্তির মাধ্যমে বার বার কারা নির্যাতিত হতে হয়েছে। তার পরিবারের লোকজনও নিগৃহিত হয়েছেন। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে লগি-বৈঠা নিয়ে আন্দোলন এবং রাজপথে থাকার ঘোষনা দিয়েছিলেন। সেই ঘোষনায়  উত্তাল হবিগঞ্জ শহরে আতাউর রহমান সেলিমসহ দলীয় নেতাকর্মীরা নেমেছিলেন মাঠে। তখন বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও পৌর মেয়র জি.কে গউছের নেতৃত্বে হামলা এবং ভাংচুর করা হয় হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক ৫ বারের চেয়ারম্যন ও আওয়ামীলীগ নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরীর বাস ভবন। এই ঘটনার জবাব দিতে হবিগঞ্জ শহরের বেবিস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত জি.কে গউছের মালিকানাধিন দৈনিক আজকের হবিগঞ্জ পত্রিকায় ভাংচুর করা হয়। এই ঘটনায় আতাউর রহমান সেলিমসহ ১২ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে ওয়ান ইলাভেন সরকার ক্ষমতায় আসলে ২০০৭ সালের ১৪ আগস্ট দ্রæত বিচার আইনে এই মামলায় আতাউর রহমান সেলিমসহ ৩ জনকে ৩ বছর মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করে। আতাউর রহমান সেলিম তখন ঢাকায় পলাতক থেকে নিজেকে রক্ষা করেন। পরবর্তিতে ২০০৯ সালে আতাউর রহমান সেলিম হবিগঞ্জে এসে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন এবং প্রায় ১ মাস কারাগারে থাকার পর আপিলের শর্তে জামিনে মুক্ত হন। পরে আতাউর রহমান সেলিম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপীল দায়ের করেন। এরই মাঝে সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় থেকে এই মামলাটিসহ বেশ কিছু মামলাকে রাজনৈতিক মামলা হিসাবে তালিকাভুক্ত করে এবং সেগুলো প্রত্যাহারের নির্দেশ প্রদান করা হয়। কিন্তু হবিগঞ্জের অন্যান্য মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হলেও এই মামলাটি পরিচালনাকারীদের অসতর্কতায় সেটি সকলের অগোচরে থেকে যায়।  আপীলকারী প্রার্থী কোন পক্ষই মামলায় উপস্থিত না থাকলেও ২০১৬ সালের ১৮ এপ্রিল এক আদেশে নি¤œ আদালতের শাস্তি বহাল রাখেন। যেহেতু আদালত আদেশ প্রদান করেছে তাই আতাউর রহমান সেলিম আইনের প্রতি সম্মান জানাতে আত্মসমর্পণ করে বর্তমানে কারাগারে আছেন। এ নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য আমাদের কানে আসলে আমরা বিভ্রান্তি দূর করতে বিষয়টির ব্যাখ্যা প্রদান করলাম। আতাউর রহমান সেলিমের এই কারাবরণ দলের আদর্শ এবং কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং দলের নেতার বাসায় হামলার প্রতিশোধ নিতে গিয়ে হয়েছে। এই কারাবরণ গৌরবের। এর পিছনে রাজনৈতিক বিরোধী শক্তির ষড়যন্ত্র এবং ফখরুদ্দিন-মঈনউদ্দিন সরকারের প্রতিহিংসা রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি, শওকত আকবর সোহেল, এসএম আব্দুর রউফ মাসুক, হাজী ইঞ্জিনিয়ার ওয়াহিদুজ্জামান বাবুল, যুগ্¥ সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব রায়, মোতাহের হোসেন রিজু, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুজ্জামান হিরাজ, ফেরদৌস আহমেদ ও তাজ উদ্দিন আহমেদ তাজ।


     এই বিভাগের আরো খবর