,

বাহুবলে সরকারি বিল দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে পুলিশসহ শতাধিক লোক আহত

বুলেট ও কাদানে গ্যাস নিক্ষেপ । আটক ১৫

মনিরুল ইসলাম শামিম :: বাহুবলে সরকারি বিল দখলকে কেন্দ্র করে দুই পরে সংঘর্ষে পুলিশসহ শতাধিক লোক আহত হয়েছে। আহতদের মাঝে প্রায় ১৫ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও বাকি আহতদের বাহুবল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৪৮ রাউন্ড সর্টগানের গুলি ও ১৩ রাউন্ড গ্যাসগানের শেল ছুড়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার গোহারুয়া গ্রামে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ১৫ জন লোককে আটক করেছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার গোহারুয়া গ্রামে একটি সরকারি বিল দীর্ঘদিন ধরে গ্রামেরই একটি পক্ষ ভোগদখল করে আসছে। ইদানিং একই গ্রামের অপর পরে লোকজন উক্ত বিলটি দখলের পায়তারা শুরু করলে দু’পক্ষে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে উভয়পক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও পুলিশ উভয় পকে শান্ত করেন। এর একঘন্টা পর দুপুর ১২টার দিকে ফের উভয় প মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ঘন্টাকালব্যাপী এ সংঘর্ষে উল্লেখিত সংখ্যক লোক আহত হয়। আহতদের মাঝে গুরুতর অবস্থায় মৃত মনফর উল্লার পুত্র সাজিদ মিয়া (৩৫), মৃত রশিদ উল্লার পুত্র নসর উদ্দীন (৫০), ফজলুল হকের পুত্র লিটন মিয়া (২২), মৃত আনফর উল্লার পুত্র মর্তুজ আলী (৪৪), হাসান উদ্দিনের পুত্র জাকারিয়া (২২), আব্দুস সাত্তারের পুত্র সাজিদ মিয়া (৩৫), হাফিজ উদ্দিনের পুত্র রাজু মিয়া (১৭), ফজল মিয়ার পুত্র আল আমিন (২০), মৃত দরছ মিয়ার ছেলে ফারুক মিয়া (৬০), ফাকু মিয়ার পুত্র অলি মিয়া (২৫), নূর মিয়ার পুত্র মোতাহির (২৫), রশিদুল্লাহর পুত্র মনির মিয়া (৭০), হাছন আলীর পুত্র নোমান মিয়া (২৮), শামসু উদ্দিনের পুত্র আব্দুল কাইয়ুম (৪০) কে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও আইয়ুব আলীর পুত্র সিদ্দিক মিয়া (৩৫), নছর উদ্দিনের পুত্র বজলু (৩০), মৃত করিম উল্লার পুত্র আহাদ আলী (৪৫), রশিদুল্লাহর পুত্র গেদু মিয়া (৭০), তৈয়ব উল্লার পুত্র ইউনুছ মিয়া (৫৫), আনফর উল্লার পুত্র আফতাব আলী (৪০), দরবেশ আলীর পুত্র সিরাজ মিয়া (২২), আশ্রব উল্লার পুত্র আব্দুল্লাহ (২৭), আব্দুর রশিদের পুত্র মানিক মিয়া (৩৫), সাজিদ মিয়ার পুত্র রায়হান (১৩), আব্দুল মুনিমের পুত্র রুবাইব (১৭), ফাকু মিয়ার পুত্র দেলোয়ার হোসেন (১৬), আব্দুল মান্নানের পুত্র আব্দুল হক (৪৫), আব্দুল হামিদের পুত্র জয়নাল মিয়া (৪০), মৃত আব্দুল্লাহর পুত্র ফয়সল (২০), সবুজ মিয়ার পুত্র মহিবুর রহমান (১৬), শফিক মিয়ার পুত্র জামাল আহমেদ (১৬), আব্দুস সাত্তারের রাজন (১৮), মৃত সফর উল্লাহর পুত্র আফরোজ (৫০), মৃত নাছির উদ্দিনের পুত্র সাজেদুর রহমান (৩৫), মৃত আব্দুল কাদিরের পুত্র আবিদ মিয়া (৪০), মনফত উল্লার পুত্র মোস্তফা (৪০), আবরু মিয়ার পুত্র জসিম (২৫), রহিম উদ্দিনের পুত্র বাবুল মিয়া (৩২), সিরাজ মিয়ার পুত্র এনামুল (১৯), মৃত আব্দুল্লাহর পুত্র সবুজ মিয়া, গেদু মিয়ার পুত্র বিংরাজ মিয়া (৩০), মৃত শামছুদ্দিনের পুত্র সবুজ মিয়া (৫০), নাছির উদ্দিনের পুত্র শফিক আহমেদ (৫০), আব্দুন নূরের পুত্র ফরিদ মিয়া (৪০), আব্দুল আলীমের পুত্র রেনু মিয়া (২৭) কে বাহুবল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাহুবল মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আলমগীর কবির, এসআই সজিব (৩০), এসআই রহিম (৪০), কনস্টেবল রাজু (২৬) ও রাজিব (২৫) সহ অন্যান্যদের বাহুবল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বাহুবল মডেল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী জানান, ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে অন্ততঃ ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন আছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর