,

হবিগঞ্জের পইল উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ

জুয়েল চৌধুরী :: হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পইল উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছে থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তারা এর প্রতিবাদে যেকোন সময় কঠোর কর্মসূচী দিবেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন হজুহাতে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে প্রতিষ্ঠানটি। এমনকি নির্বাচনী পরিক্ষায় ৩ বিষয়ে পেল করা শিক্ষার্থীদের চুড়ান্ত পরিক্ষায় অংশ গ্রহণের সযোগ দেয়ার নাম করে নেয়া হচ্ছে আরও অতিরিক্ত টাকা। চলতি বছরের ১৪ অক্টোবর সিলেট শিক্ষা বোর্ডের এক নির্দেশনায় অতিরিক্ত ফি আদায় না করার জন্য বলা হলেও সে নির্দেশনা মানছে না ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ কামাল উদ্দিন। এতে করে বিপাকে পড়েছেন ওই বিদ্যালয়ের দরিদ্র শিক্ষার্থীরা। টাকার অভাবে অনেকে ফরম পূরণ হিমশিম খান। আবার অনেকে মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ এনে ছেলে মেয়েদের ফরম পূরণ করতে বাধ্য হচ্ছেন। পইল উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিার্থীর অভিভাবক জানান, ২৮ সেপ্টেম্বর দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীার ফল প্রকাশের দিন স্কুল থেকে ৬ নভেম্বর ফরম পূরণের শেষ দিন বলে জানানো হয়। এ সময় সবাইকে বিভাগ বেদে নির্দিষ্ট টাকা নিয়ে ফরম পূরণের কথা বলা হয়। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৩ হাজার ৯৯০ টাকা, ব্যবসা শিক্ষা ও মানবিক বিভাগের জন্য ৩ হাজার ৮৮০টাকা নেয়া হয়। এতে বিপাকে পড়েন শিক্ষার্থী ও অনেক অভিভাবক। হুট করে এভাবে টাকার জোগাড় করা অনেকের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এমনকি ফরম পূরণের কোন রশিদও দেয়া হচ্ছে না শিক্ষার্থীদের। এতে করে ফরম পূরণে ভুল হওয়ার শঙ্কাও রয়েছে। অথচ সরকার এসএসসির ফরম পূরণে ফি নির্দিষ্ট করে দিয়ে দিলেও তার কোন তোয়াক্কাই করছে না স্কুল কর্তৃপক্ষ। শিক্ষাবোর্ডেও নিয়ম অনুযায়ি এবার এসএসসি পরীক্ষা- ২০১৮ ফরম পূরণের (কেন্দ্র ফি সহ) বিজ্ঞান শাখা- ১,৫৬৫/- টাকা মানবিক শাখা- ১,৪৪৫/- টাকা ব্যবসায় শিক্ষা- ১,৪৪৫/- টাকা। অথচ ওই প্রতিষ্ঠানটি সরকার নির্ধারিত ফির চেয়ে ৩ গুণ টাকা নিচ্ছে। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বলেন- স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির নেতৃবৃন্দ মিলে অতিরিক্ত ফি আদায়ের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে করে স্কুলের দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পরিবারকে বিপাকে পরতে হয়েছে। এদিকে, ম্যানেজিং কমিটির কয়েকজন সদস্য বলেন- আমরা অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়ে বাধা প্রতান করেছিলাম। কিন্তু কর্তৃপক্ষ আমাদের কথায় কোন কণর্ণপাত করেনি। এ ব্যাপাওে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কামাল উদ্দিন জানান, ‘ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক এই ফি ধার্য্য করা হয়েছে। তাছাড়া নির্বাচনি পরীক্ষায় ৩ বিষয়ে পেল করার পরও তদেরকে চুড়ান্ত পরিক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া হচ্ছে।’ শিক্ষার্থীদের রশিদ না দেয়ার বিষয়েও তিনি বরাবরের মতোই ম্যানেজিং কমিটির উপর দায় চাপিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন- ‘এই প্রতিষ্ঠানে কোন সময়ও রশিদ দেয়া হয়নি। আর আমি সম্প্রতি দায়িত্ব পালন করছি। আমিতো আর ম্যানেজিং কমিটির বাহিরে সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।


     এই বিভাগের আরো খবর