,

নবীগঞ্জে টিআর প্রকল্পের কাজে মারাত্মক অনিয়ম মুক্তাহার গ্রামে চরম উত্তেজনা ইউএনও বরাবরে লিখিত অভিযোগ

স্টাফ রিপোটার ॥ উপজেলার করগাঁও ইউপি’র মুক্তাহার গ্রামে এমপি’র বরাদ্ধকৃত চাল দিয়ে প্রকল্প বহির্ভূত স্থানে ব্যক্তিস্বার্থে মাটির রাস্তা নির্মাণ করার ফলে গ্রামবাসির মাঝে চরম উত্তেজনাসহ সরকারি টাকার অপচয় হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, সিলেট-হবিগঞ্জ সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী উপজেলার মুক্তাহার গ্রামের একটি রাস্তা সংস্কারের জন্য ২টন চাল বরাদ্ধ করেন। ওই গ্রামের অমূল্য চন্দ্র দাশের পুত্র আশিষ চন্দ্র দাশ কাজটি পান। বরাদ্ধকৃত চাল দিয়ে মুক্তাহার গ্রামের নতুন ব্রিজ থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত মাটি দিয়ে সংস্কার করার কথা ছিল। কিন্তু ওই বরাদ্ধের চাল দিয়ে অনিয়মের মাধ্যমে জনৈক সজল দাশের বাড়ির সামন থেকে আশিষ দাশ তার নিজ বাড়ি পর্যন্ত মাটির নতুন রাস্তা নির্মাণ করার কাজ শুরু করলে গ্রামের অনেক লোকজন গিয়ে বাধা দেন। কিন্তু আশিষ দাশ গ্রামবাসির বাধা উপেক্ষা করে কাজ করতেই থাকেন। এমনকি সরকারি গড়ের বিলকে বিভক্ত করে মাটি কাটার কাজটি করায় ভবিষ্যতে সরকারি বিলের সমূহ ক্ষতিরও আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসি। পরে গ্রামবাসির পক্ষ থেকে ১৬ জনের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি লিখিত অভিযোগ গত ১০ মার্চ নবীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট দেওয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)’র নির্দেশে সংশ্লিষ্ট তহশিলের তহশিলদার সরেজমিনে গিয়ে কাজ বন্ধ রাখার কথা বলেন। কিন্তু আশিষ দাশ ওই সরকারি বাধাও মানেননি। ওই বিষয় নিয়ে আলোচিত গ্রামের লোকদের মাঝে চরম উত্তেজনা চলছে। অপরদিকে সরকারি বরাদ্ধের স্থানে কাজটি না হওয়ায় সরকারি বরাদ্ধেরও আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। সম্প্রতি সরেজমিনে গেলে আশিষ দাশ এ প্রতিনিধিকে জানান, সরকারি বরাদ্ধের চালে তিনি তার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তার কাজ করছেন না। তিনি ব্যক্তিগত টাকায় ওই কাজটি করাচ্ছেন এবং নতুন রাস্তা দিয়ে বেশ কয়েকটি বাড়ির লোকজন চলাফেরাসহ স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল-কলেজে যাতায়াত করবে বলে দাবি করেন। আশিষ দাশ দাবি করেন কিছুদিনের মধ্যেই সরকারি বরাদ্ধের অর্থায়নে প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত কাজ হবে। তবে গ্রামের লোকজন আশিষ দাশের ওই বক্তব্যকে মিথ্যে বলে দাবি করছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর