সংবাদদাতা :: অর্থ আত্বসাত, বিনা অনুমতিতে ৯৪ দিন মাদ্রাসায় অনুপস্থিতি, রশিদ বই নিয়ে ফেরত না দেয়াসহ নানা অভিযোগে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার উচাইল শাহ মজলিশ আমিন সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী কাজী শাহ শামছুল আলমকে মাদ্রাসা থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ১৭ নভেম্বর উচাইল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তে তাকে চাকুরী থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্ত আদেশে বলা হয়- শাহ শামছুল আলম বরখাস্তকালীন সময়ে কর্মস্থলেই অবস্থান করবেন এবং কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত অন্যত্র যেতে পারবেন না। বিধি মোতাবেক সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে তিনি খোরপোষ পাবেন। মাদ্রাসার তহবিল থেকে ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৪শত টাকা, মসজিদ নির্মাণ প্রকল্প থেকে ৩৪ হাজার টাকাসহ বিভিন্ন অর্থ আত্বসাতের অভিযোগ আনা হয় শামছুল আলমের বিরুদ্ধে। দুইটি রশিদ স্বার করে গ্রহণ করার পর তা ফেরত না দিয়ে কাল পেনের অভিযোগ আনা হয় বরখাস্ত আদেশ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে। রশিদ বই উদ্ধারের জন্য ইতিমধ্যে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। শিক্ষক শামছুল হকের বিরুদ্ধে অন্য শিক্ষকের বিরুদ্ধে উস্কানি দিয়ে শিক্ষার্থীদের দিয়ে মিছিল করানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। চাকুরীর শর্তাবলী লঙ্ঘন করে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের নিকাহ রেজিষ্ট্রার ও শায়েস্তাগঞ্জ থানার ব্রাহ্মনডুরা ইউনিয়নের নিকাহ রেজিষ্ট্রার হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন শামছুল হক। শিক্ষক শামছুল হককে বিভিন্ন অভিযোগে শোকজন নোটিশ প্রদান করা হলেও উদ্যত্ত পূর্ণ আচরণ দেখিয়ে নোটিশ রিসিভ না করায় তা অসদাচারণ হিসাবে বরখাস্ত আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্তত ১২টি অভিযোগে শিক্ষক শামছুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এর আগে শিক্ষক শামছুল হকের বিরুদ্ধে দুদক আইনে দায়রা জজ আদালতে মামলা, রশিদ বই উদ্ধারের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়েরসহ একাধিক রেজুলেশন পাস করা হয়।