,

১ মাস পর দেশে ফিরল নবীগঞ্জের তাহেরের লাশ, দাফন সম্পন্ন

ইরানে নিহত নবীগঞ্জের তাহেরের লাশ দেখে স্বজনদের আহাজারি

মতিউর রহমান মুন্না :: সুন্দর ভবিষ্যত আর সোনালী দিনের স্বপ্ন নিয়ে ইউরোপের দেশে পাড়ি দিতে গিয়ে লাশ হয়ে দেশে ফিরল নবীগঞ্জের যুবক আবু তাহের। মৃত্যুর প্রায় ১ মাস পর তার লাশ স্বজনদের কাছে এসেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জানাযার নামাজ শেষে লাশ দাফন করা হয়েছে। সুত্রে প্রকাশ, চলতি বছরের ২৩ অক্টোবর ইরান থেকে তুর্কি যাওয়ার পথে সিমান্ত এলাকায় সড়ক দ‚র্ঘটনায় নিহত হন নবীগঞ্জ উপজেলার ছোট শাখোয়া গ্রামের আতাব উল্লার পুত্র আবু তাহের। এরপর থেকেই লাশটি পড়ে রয়েছিল শাহরিয়ার নামক একটি হসপিটাল মর্গে। নানা জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে দীর্ঘ ১ মাস পর একই উপজেলার দিনারপুর কায়স্থগ্রামের ইরান প্রবাসী সুজন মিয়া লাশটি বাংলাদেশ পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। গত বুধবার ভোর রাতে তুর্কি বিমানে তাহেরের লাশবাহী কার্গোটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌছে। সেখানে লাশ গ্রহণ করেন নিহত আবু তাহেরের স্বজনরা। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে লাশটি তার গ্রামের বাড়ি ছোট শাখোয়া গ্রামে আসলে স্বজনদের আহাজারিতে আকাশ ভারী হয়ে ওঠে। আশপাশের এলাকা থেকে তাহেরকে একনজর দেখতে হাজারো মানুষের ঢল নামে। পরে মাগরিবের নামাজ শেষে শাখোয়া বাজার জামে মসজিদের মাঠ প্রাঙ্গনে নিহতের নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। জানাযার নামাজে নবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব ছাবির আহমেদ চৌধুরী, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ছাইম উদ্দিন, শিক্ষক সমিতির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোঃ রুবেল মিয়াসহ বিভিন্ন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার কয়েক হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লী অংশগ্রহন করেন। আবু তাহেরের অকাল মৃত্যু কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেননা তার সহকর্মীরা তারা গভীরভাবে শোক প্রকাশ করেছেন। আর তাহেরের লাশ বাংলাদেশে পাঠিয়ে স্বজনদের শেষবারের মতো দেখার সুযোগ করে দেওয়ায় ইরান প্রবাসী সুজন মিয়ার প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পাশাপাশি এনিয়ে ধারাবাহিক সংবাদ প্রচার করায় গনমাধ্যম বিশেষ করে বাংলা টিভি ও এর প্রতিনিধিকে ধন্যবাদ জানান এলাকাবাসী।


     এই বিভাগের আরো খবর